ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খেতে মাঝেমধ্যেই হানা দেয় হাতি (Elephant)। নষ্ট করে খেতের ফসল। তাই হাতিহানা যে কোনও শর্তে রুখতে হবে। সে কারণে বিদ্যুতের তার দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছিল খেত। তবে অবলা প্রাণীটা বোঝেনি যে তার আসাযাওয়া রুখতে কী মরণফাঁদই না পেতে রেখেছেন গৃহস্থ। তাই তো কিছু না বুঝেই খেয়ালের বশে খেতের ভিতরে ঢুকতে যায় সে। আর তাতেই বিপত্তি। প্রাণ দিয়ে খেসারত দিল হাতি। প্রাথমিকভাবে অনুমান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তার।
শনিবার সকালে ধূপগুড়ি ব্লকের মধ্য খট্টিমারি এলাকার ভান্ডারকুড়া গ্রামের একটি বেগুন খেতে হাতির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। ওই হাতিটি আনুমানিক ১০-১২ বছর বয়সি। স্থানীদের দাবি, শুক্রবার রাত থেকে ওই এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ১০-১৫টি হাতি। মোরাঘাট জঙ্গল থেকে খেতে এসেছিল তারা। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, বেগুন খেতের চারপাশে বিদ্যুতের তার লাগানো ছিল। তাতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় হাতিটির।
হাতি মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বনদপ্তরের আধিকারিকরা। পশু চিকিৎসকদের মতে, হাতিটির শুঁড়ে গভীর ক্ষত রয়েছে। বিদ্যুতের তার থেকেই ক্ষত তৈরি হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। হাতির মৃত্যুর আসল কারণ জানতে তার দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি বনবিভাগের এসিএফ বিপাশা পারুল বলেন, “খাবারের সন্ধানে হাতিটি এলাকায় এসেছিল। প্রাথমিক অনুমান বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। বন্যপ্রাণ আইন অনুযায়ী জমির মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।”
এই নিয়ে গত দু’মাসে ডুয়ার্সে দু’বার হাতির মৃত্যু হয়েছে। এর আগে আগস্টে মালবাজারে দু’টি হাতির প্রাণহানি হয়। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তাদের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ধুপগুড়িতে হাতির মৃত্যু।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.