মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: “আমফানের (Amphan) ক্ষতিপূরণ হিসেবে মিলেছে মাত্র একহাজার টাকা। যা পর্যাপ্ত নয়। তাই এই টাকা নিয়ে কোনও লাভ নেই”, তাই টাকা প্রশাসনকে ফিরিয়ে দিতে বিডিওর দ্বারস্থ হলেন হাওড়ার শ্যামপুর দু’নম্বর ব্লকে খাড়ুবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মামুদপুর এলাকার শেখ ফরিদা। বুধবার শ্যামপুর দু’নম্বর ব্লকের বিডিওর কাছে আবেদনপত্র জমা দেন তিনি। কিন্তু কেন মাত্র এক হাজার টাকা? এপ্রশ্নের উত্তর নেই কারও কাছ।
শেখ ফরিদা নামে ওই বৃদ্ধার কথায়, আমফানে তাঁর বাড়ির টালির ছাউনির অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোনওরকমে ত্রিপল চাপিয়ে কিছুটা মেরামত করে সেখানেই তিনি থাকছেন। ভেবেছিলেন ক্ষতিপূরণের টাকা পেলে হয়তো ঘরটা ভাল করে মেরামত করা যাবে। কিন্তু সম্প্রতি অ্যাকাউন্ট চেক করতে গিয়ে তার চক্ষু চড়কগাছ। তিনি দেখেন, তাঁকে দেওয়া হয়েছে মাত্র এক হাজার টাকা। এতে রীতিমতো ক্ষুব্ধ বৃদ্ধ ফরিদা। তাঁর কথায়, “বিভিন্ন সময়ে দেখা গেছে যাদের ক্ষতি হয়নি তাঁরা অনেক টাকা পেয়েছে। অথচ আমার বাড়ির বিরাট অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হল আমি পেলাম মাত্র এক হাজার টাকা! এই টাকায় কোনও কাজ হবে না। তাই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছি।”
এই ঘটনা নিয়ে সুর চড়িয়েছেন শামপুরের কংগ্রেস নেতা আতিয়ার রহমান খান। তিনি বলেন, যেখানে ক্ষতিপূরণের স্ল্যাব কুড়ি হাজার বা দশ হাজার টাকা। সেখানে মাত্র এক হাজার টাকা কী করে দেওয়া হল? তাহলে কী এখানেও কাটমানি নেওয়া হচ্ছে? এই পরিমাণ টাকা পাওয়ার বিষয়টি জেনে বিস্মিত খাড়ুবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শ্যামল সামন্ত। তিনি বলেন, “এত কম টাকা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা নয়। কেন ওই উপভোক্তা মাত্র এক হাজার টাকা পেলেন তা জানি না, বিষয়টি বুঝতেও পারছি না। খোঁজখবর নিয়ে দেখব।” শ্যামপুর ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জুলফিকার আলি মোল্লা জানান, “আমিও এটা বুঝতে পারছি না। কোথাও কোনও ভুল হয়ে থাকতে পারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.