ব্রতদীপ ভট্টাচার্য: সৎকারের প্রায় তিন মাস পর আচমকা ঘরে ফিরলেন বৃদ্ধ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২ পরগনার নৈহাটিতে। আচমকা বছর ৭২-এর ওই বৃদ্ধ ঘরে ফিরতেই হতবাক পরিবার থেকে প্রতিবেশী। আতঙ্কে ঘরে লুকিয়েছেন অনেকেই। কেউ আবার উঁকি দিয়ে দেখছেন আদতেই অতি পরিচিত সেই ব্যক্তিই তো? নাকি অশরীরি? যদিও সেসবকে তোয়াক্কা না করেই স্বমহিমায় ঘরে প্রবেশ করেছেন বৃদ্ধ।
বিষয়টা কী? জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের দশ নভেম্বর আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান নৈহাটির সাহেব কলোনির বাসিন্দা ভূষণ পাল। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজিও করেন। কিন্তু নাহ, কোথাও হদিশ মেলেনি তাঁর। এরপরই পরিবারের তরফে নৈহাটি থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করা হয়। এর কয়েকদিন পর অর্থাৎ ১৬ নভেম্বর অজ্ঞাত পরিচয় একটি দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের তরফে খবর দেওয়া হয় ভূষণবাবুর পরিবারে। দেহটি শনাক্ত করেন তাঁরা। শনাক্তকরণের পর ময়নাতদন্ত সেরে দেহটি ভূষণবাবুর পরিবারের হাতে তুলে দেয় পুলিশ। নিয়ম মেনে দেহটি সৎকার করেন তাঁরা। শাস্ত্র মেনে পরলৌকিক কাজও সারা হয়।
এই ঘটনার প্রায় তিন মাসের মাথায় আচমকা বাড়িতে হাজির ভূষণ বাবু। তবে কার দেহ সৎকার করেছিলেন ভূষণবাবুর পরিবারের সদস্যরা? তা নিয়েই ধন্দে পরিবার। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে, শনাক্তকরণের পরই দেহটি পরিবারকে দেওয়া হয়েছিল। তারপর এই ঘটনায় বোঝাই যাচ্ছে যে, শনাক্তকরণেই ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। ‘মৃত’ সদস্য এভাবে ফিরে আসায় খুশি হয়েছেন সকলেই, কিন্তু যে পরিস্থিতিতে ফিরেছেন তিনি তাতে হতবাক পরিবারও। ঠিক কী ঘটেছিল? এতদিন কোথায় ছিলেন ভূষণবাবু? এখন সেসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন পরিবারের সদস্যরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.