Advertisement
Advertisement

Breaking News

আমফান নিয়ে বার্তা ডেরেকের

আমফানকে ‘অতি বিরল’ ঝড়ের তকমা দেওয়া হোক, কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়িয়ে দাবি ডেরেকের

টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র।

Amphan has to be classified as level-3 devastation, demands Derek O Brien
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:May 26, 2020 9:00 am
  • Updated:May 26, 2020 9:31 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফানের তাণ্ডবলীলাকে ‘জাতীয় বিপর্যয়’ ঘোষণা করা হবে কি না, তা নিয়ে চাপানউতোর আছেই। তার মধ্যে রাজ্যের শাসকদলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও ব্রায়েনের দাবি, ‘অতি বিরল’ ঝড়ের তকমা দেওয়া হোক আমফানকে। সোমবার টুইটারে পোস্ট করা ভিডিও বার্তায় তাঁর বক্তব্য, ২০০৫ সালের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইন অনুযায়ী সব দিক থেকে আমফান লেভেল – থ্রি গোষ্ঠীর ঝড় এবং তা অত্যন্ত বিরল। যে কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কোনও রাজ্যের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ক্ষতি হলেই তাকে তৃতীয় পর্যায়ের বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলা হয়। আমফানে পরবর্তী সময়ে রাজ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসেব করে দেখা গিয়েছে, তা ৭০ শতাংশের বেশি। তাই ডেরেকের দাবি, ‘অতি বিরল’ ঝড় হিসেবে চিহ্নিত হোক আমফান।

সপ্তাহখানেক আগের সুপার সাইক্লোন আমফান বিপর্যস্ত করে দিয়ে গিয়েছে রাজ্যের উপকূলবর্তী দুই জেলা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, শহর কলকাতাকে। অল্পবিস্তর ক্ষতি হয়েছে হাওড়া, হুগলির মতো জেলাগুলিরও। সপ্তাহ পেরতে চললেও সেই ধাক্কা প্রাথমিকভাবেও কাটিয়ে ওঠা যায়নি। কীভাবে সব স্বাভাবিক করা যায়, তা ভেবে রাজ্য সরকারের মাথায় কার্যত হাত পড়ছে। আমফানের পরপরই অবশ্য রাজ্যে এসে পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শন করে গিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পুনর্গঠনে এক হাজার কোটি টাকা সাহায্যও দিয়েছেন। এখন এই অর্থ সাহায্য কতখানি পর্যাপ্ত আর কতটা নয়, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তরজা চলেছেই।

[আরও পড়ুন: ‘একটা পলিথিন পেলে ভাল হত’, সরকারি ত্রাণের আশাই করেন না সাগরের দম্পতি]

এই পরিস্থিতিতেই তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ এবং সর্বভারতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও ব্রায়েনের ভিডিও বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠছে। তিনি বলতে চাইছেন, যে কোনও রাজ্যে লেভেল-থ্রি পর্যায়ের বিপর্যয় মোকাবিলায় কেন্দ্রের আরও বেশি দায়িত্ব থাকে। যে ত্রাণ তহবিল তৈরি হয়, তার অধিকাংশ টাকাই দিয়ে থাকে কেন্দ্র। তাই এক্ষেত্রে শুধু এক হাজার কোটি টাকা সাহায্য দেওয়া মোটেই পর্যাপ্ত নয়। তাঁর দাবি, কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্যের পাওনা এই মুহূর্তে ৫৩ হাজার কোটি টাকা। এই দুঃসময়ে তা থেকে মাত্র হাজার কোটি টাকা মঞ্জুর করে দেওয়া খুব মানবিক কাজ নয়।

[আরও পড়ুন: মুম্বই থেকে ফিরে কোয়ারেন্টাইন, গোয়ালঘরেই ইদের নমাজ পাঠ পরিযায়ী শ্রমিকের]

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মত, ডেরেক ও ব্রায়েনের এই দাবি আসলে কেন্দ্রের উপর চাপ তৈরিরই একটা কৌশলমাত্র। এই বিপর্যয় মোকাবিলার সুযোগে কেন্দ্রের কাছ থেকে পাওনা টাকার সিংহভাগ আদায়ের চেষ্টা। আমফানের পর ক্ষয়ক্ষতির হিসেবনিকেশে মাথা ঘুরে গিয়েছে রাজ্য প্রশাসনের। বুঝতেই পারছে, ক্ষত মেরামত করে ঘুরে দাঁড়ানো একেবারেই সহজ কাজ হবে না। সেক্ষেত্রে অর্থও একটা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই কি তৃণমূলের হয়ে ডেরেকের এমন দাবি? যার আড়ালে আসলে রয়েছে অন্য বার্তা? তেমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একটা বড় অংশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement