Advertisement
Advertisement

মৃত স্বামীর বিমার ভাগও ছাড়লেন না বিউটি মালিক, চূড়ান্ত হতাশ শ্বশুরবাড়ি

অমিতাভ মালিকের মৃত্যুর পর শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে তাঁর তিক্ততা আরও একবার প্রকাশ্যে এল।

Amitava Malik's wife claim insurance money
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:January 18, 2019 2:32 pm
  • Updated:August 5, 2024 1:55 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের শিরোনামে শহিদ অমিতাভ মালিকের স্ত্রী বিউটি মালিক। স্বামীর মৃত্যুর পর শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে তাঁর তিক্ততা আরও একবার প্রকাশ্যে এল।

রাজ্য পুলিশের সাব ইনস্পেক্টর অমিতাভ মালিকের জীবনবিমার টাকা নিয়ে দীর্ঘ একবছর আইনি লড়াইয়ে নেমেছিলেন বিউটি। যার চূড়ান্ত শুনানি হল বুধবার। বিচারক জানান, মৃত অমিতাভ মালিকের বিমার টাকা স্ত্রী ও বাবার মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে।

Advertisement

[‘ভাগ’ করে নয়, গৃহস্থের গোটা পিঠে নিজের পেটে চালান চারপেয়ের]

২০১৭ সালের গোড়ার দিকে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দার্জিলিং। সেই সময়ই গুরুং বাহিনীর গুলিতে শহিদ হয়েছিলেন মধ্যমগ্রামের অমিতাভ মালিক। কান্নায় ভেঙে পড়েন স্ত্রী বিউটি। তাঁর প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছিল গোটা রাজ্য। সে সময় মধ্যমগ্রামের মালিক পরিবারের পাশে দাঁড়ায় প্রশাসন। সরকারের তরফে জানায়, অমিতাভর স্ত্রীকে চাকরি দেওয়া হবে। প্রতিশ্রুতি মতোই পুলিশের চাকরি পান তিনি। তবে ততদিনে শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক চুকিয়ে দিয়েছিলেন বিউটি। ফলে বউমার তরফে কোনও সাহায্যের আশাও ত্যাগ করে মালিক পরিবার। চূড়ান্ত আর্থিক সংকটে পড়েন অমিতাভর বাবা-মা। পরিস্থিতি বুঝে শিক্ষা দপ্তরে অমিতাভর ভাই অরুণাভকে চাকরি দেয় রাজ্য সরকার। এমন অবস্থায় বিউটির একাধিক আচরণে বিরক্তি বাড়ে মালিক পরিবারের। শহিদ পত্নীর অবশ্য তা নিয়ে কোনও মাথাব্যথা ছিল না। উলটে অর্থের দাবি তুলে শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের আদালতে টেনে আনেন তিনি।

[পণের দাবিতে অন্তঃসত্ত্বার পেটে স্বামীর লাথি, নষ্ট ভ্রূণ]

কোন বিমার মামলা চলছিল আদালতে? বিয়ের আগে অমিতাভ একটি জীবনবিমা করেছিলেন। যার মেয়াদ ছিল কুড়ি বছর। পলিসির নমিনি ছিলেন অমিতাভর বাবা সৌমেন মালিক। কিন্তু অমিতাভর মৃত্যুর পর বিউটিও সেই অর্থের দাবি তোলেন। টাকা ভাগের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থও হন বিউটি। টানা একবছর মামলা চলার পর বুধবার বারাসত আদালতের বিচারপতি জানান, আইন মেনে বিমার টাকার অর্ধেক পাবেন বিউটি। বাকিটা অমিতাভর বাবা সৌমেন মালিকের। প্রায় সাড়ে এগারো লক্ষ টাকা দুজনের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। তবে বউমার কাণ্ডকারখানায় চূড়ান্ত হতাশ সৌমেনবাবু। জানান, তিনি আগেই বিউটিকে বিমার অর্ধেক টাকা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু বিউটি তাঁর মুখের কথা বিশ্বাস করেননি। উলটে তাঁদের আদালত পর্যন্ত টেনে আনেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement