Advertisement
Advertisement

মধ্যমগ্রামে অমিতাভ মালিকের স্মৃতিতে পার্ক, উদ্বোধনে ডাক পেলেন না বিউটি

দার্জিলিংয়ে গুরুং বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে শহিদ হয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের এসআই অমিতাভ মালিক।

Amitabha Malik's statue opening Ceremony
Published by: Sayani Sen
  • Posted:December 9, 2018 9:27 am
  • Updated:December 9, 2018 9:27 am  

ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: দার্জিলিংয়ে গুরুং বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে শহিদ হয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের এসআই অমিতাভ মালিক। এই বলিদানকে স্মরণীয় করে রাখতে তাঁর বাড়ির এলাকায় অমিতাভর নামে উদ্যান তৈরি করছে পুরসভা। আজ রবিবার তার উদ্বোধন। সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অমিতাভর বাবা, মা ভাই-সহ আত্মীয়-পরিজন সকলেই। থাকবেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও। কিন্তু স্বামীর স্মৃতির উদ্দেশে অয়োজিত সেই অনুষ্ঠানে ডাক পেলেন না অমিতাভর স্ত্রী বিউটি মালিক। উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, অমিতাভর মৃত্যুর পর বিউটি শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সঙ্গে চূড়ান্ত দুর্ব্যবহার করেছেন। স্বামীর চাকরি পাওয়া ইস্তক অমিতাভর বাবা-মায়ের সঙ্গে কার্যত কোনও সম্পর্কই রাখেননি তিনি। সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।

[অভাবী পরিবারের ছেলে-মেয়েদের দিশা দেখাচ্ছে ‘স্পোর্টস থেরাপি’]

২০১৭ সালের ১৩ অক্টোবর দার্জিলিংয়ের জঙ্গলে গুরুং বাহিনীর ছোড়া একটি বুলেটে থেমে গিয়েছিল ২৬ বছরের সাহসী পুলিশ অফিসারের জীবন। মধ্যমগ্রাম শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শরৎকানন পাটুলি শিবতলায় অমিতাভ মালিকের বাড়ি। এই শহিদকে সম্মান জানাতে তাঁর বাড়ির পাশেই একটি উদ্যান তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছিল মধ্যমগ্রাম পুরসভা। স্থানীয় কাউন্সিলর পঙ্কজকান্তি চন্দ পার্ক তৈরির জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এক বছরের মধ্যে এই পার্ক তৈরির কাজ শেষ হয়। পার্কের নাম দেওয়া হয়েছে ‘শহিদ অমিতাভ মালিক স্মৃতি রক্ষা উদ্যান’। রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় এই পার্কের উদ্বোধন করবেন মধ্যমগ্রামের বিধায়ক তথা চেয়ারম্যান রথীন ঘোষ। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন সংসদ সদস্য ডাঃ কাকলি ঘোষদস্তিদার।

Advertisement

[থ্যালাসেমিয়া মুক্ত সমাজ গড়তে লড়ছেন ‘এক টাকার মাস্টারমশাই’]

অমিতাভর মৃত্যুর পর সরকারের উদ্যোগে পুলিশে চাকরিও পেয়েছিলেন অমিতাভর স্ত্রী বিউটি। কিন্তু তারপর থেকেই যেন চিত্রটা বদলে যায়। বিতর্ক শুরু হয় বিউটি মালিককে ঘিরে। অমিতাভর বাবা-মা ক্ষোভের সুরে জানিয়েছিলেন, চাকরি পাওয়ার কোনও খবরই তাঁদের জানাননি বিউটি। সাংবাদমাধ্যমের মারফত জেনেছিলেন তাঁরা। তারপর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের প্রতি অবহেলার নানা অভিযোগই উঠেছে বিউটির বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, অমিতাভর বাবা-মায়ের সঙ্গে কোনও সম্পর্কই রাখেন না বিউটি। অমিতাভর ব্যবহার করা যাবতীয় জিনিস তো নিয়েই গিয়েছেন। এমনকী, অমিতাভর বাড়ি থেকে জলের পাম্পটিও খুলে নিয়ে গিয়েছেন তিনি। কারণ সেটি নাকি অমিতাভর টাকায় কেনা তাই! আর সে সব কারণেই রবিবার অমিতাভর নামে উদ্যানের উদ্বোধনে বিউটিকে ডাকেননি উদ্যোক্তারা। কাউন্সিলর পঙ্কজকান্তি বিশ্বাসের ব্যক্তব্য, “অমিতাভর জন্যই বিউটিকে আমরা চিনি। অমিতাভর পরিবারে সঙ্গে বিউটি মালিক যেহেতু কোনও সম্পর্ক রাখেননি তাই তাঁকে অনুষ্ঠানে ডাকার কোনও প্রয়োজন মনে করছি না।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement