সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদির সরকার এলে, নাগরিত্ব সংশোধনী বিল এনে শরণার্থীদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করা হবে৷’ মতুয়াদের মন জয়ে কল্যাণীর জনসভা থেকে আরও একবার এই হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ৷ দাবি করলেন, দেশকে নিরাপত্তা দিতে মোদি সরকারই একমাত্র বিকল্প৷ অনুপ্রবেশকারীদের ভোটব্যাংক হিসাবে ব্যবহারের অভিযোগ তুলে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল সরকারকে৷
[ আরও পড়ুন: ধূপগুড়িতে ফের গণধর্ষণ, নদীর পাড় থেকে উদ্ধার অচৈতন্য যুবতী]
বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের সমর্থনে এদিন নির্বাচনী প্রচারে আসেন অমিত শাহ৷ মতুয়া মন জয়ে প্রথম থেকেই কোনও কসুর করেননি তিনি৷ সভার শুরুতেই প্রয়াত বীণাপানি দেবীকে স্মরণ করেন তিনি৷ শ্রদ্ধা জানান দেশের শহিদ জওয়ানদের৷ যে এনআরসি নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সরব ছিল তৃণমূল৷ অসম থেকে যে বিক্ষোভের আগুন দিল্লিতে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদরা৷ শাসকদলের গড়ে দাঁড়িয়ে সেই এনআরসি-র পক্ষেই সওয়াল করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি৷ চড়া গলায় জানালেন, ‘‘ এনআরসি করে অনুপ্রবেশকারীদের দেশ থেকে বের করে দেওয়া হবে৷ কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী ও অসম থেকে রাজস্থান, খুঁজে খুঁজে অনুপ্রবেশকারীদের বের করবে বিজেপি সরকার৷৷ এরা দেশকে শেষ করে দিচ্ছে৷’’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘অনুপ্রবেশকারীদের ভোটব্যাংক হিসাবে ব্যবহার করছে মমতা সরকার৷ আমাদের ভোটব্যাংকের রাজনীতি করার প্রয়োজন হয় না৷ আমাদের কাছে দেশের সুরক্ষা আগে৷ নির্বাচন আসবে-যাবে কিন্তু দেশের সুরক্ষা আগে৷’’
একদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন নাগরিত্ব সংশোধনী বিল ও এনআরসি নিয়ে কেন্দ্রকে বারবার আক্রমণ শানাচ্ছেন৷ তখন কৌশলে এই দুটি বিষয়কেই হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভোট সেনাপতি৷ মতুয়াদের দীর্ঘদিনের দাবি মেটানোর প্রতিশ্রতি দিয়ে তিনি জানান, ‘‘ক্ষমতায় এলে নাগরিত্ব সংশোধনী বিল পাশ করবে মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার৷ আশপাশের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন শরাণার্থীদের নাগরিকত্ব দেবে সরকার৷ মতুয়াদের সম্মান জানাবে মোদি সরকার৷’’
[ আরও পড়ুন: পর্যবেক্ষক হিসেবে এবার বিষ্ণুপুরে ভোট ‘করানোর’ দায়িত্ব পেলেন অনুব্রত মণ্ডল! ়]
রাজ্যের শাসকদলকে কাঠগড়ায় তুলে অমিত শাহ অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গে কেবল বোমা তৈরির কারখানা হয়েছে৷ রাজ্যে সিন্ডিকেট রাজ চালাচ্ছে তৃণমূল৷ মমতার পাশাপাশি পুলওয়ামার প্রসঙ্গ টেনে এদিন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকেও আক্রমণ করেন শাহ৷ জানান, বালাকোট ভারতীয় সেনা প্রতিশোধ নেওয়ার পর সমগ্র দেশ যখন আনন্দে নেচে উঠেছিল, তখন কেবল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাহুল গান্ধী দুঃখ পেয়েছিলেন৷ কারণ ওনারা ভেবেছিলেন, ভোটব্যাংক শেষ হয়ে যাবে৷ ৩৭০ নম্বর ধারা অবলুপ্তির দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি নিশানা করেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহকেও৷ হুঙ্কার দিয়ে বলেন, ‘‘কোনও দিন কেন্দ্রে বিজেপির সরকার না থাকলেও, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি না থাকলেও, বিজেপি কর্মীরা কাশ্মীরকে ভারত থেকে বাদ দিতে দেবেন না৷ কারণ কাশ্মীর ভারত মাতার মুকুটমণি৷’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.