বাবুল হক, মালদহ: ‘ভয় পেয়ে বিজেপিকে রথযাত্রা করতে দেয়নি মমতা সরকার৷ তৃণমূলের শেষের দিন এসে গিয়েছে৷’ মালদহের জনসভা থেকে রাজ্যের শাসকদলকে এই ভাষাতেই আক্রমণ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ৷ নিশানা করলেন কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ সমগ্র বিজেপি বিরোধীদের৷ জানালেন, বাংলার মানুষ মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন, ২০১৯-এ কেন্দ্র বিজেপি সরকারই হবে৷ প্রধানমন্ত্রী হবেন নরেন্দ্র মোদি৷
[পাণ্ডবেশ্বরে কয়লা মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য, আক্রান্ত খোদ ইসিএলের বড়কর্তা ]
মঙ্গলবারের সভা থেকে একাধিক ইস্যুতে রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ করেন অমিত শাহ৷ বলেন, ‘কলকাতার মমতা সরকারের ট্রান্সফরমার জ্বলে গিয়েছে৷ ওদের এবার উপড়ে ফেলতে হবে৷’ অভিযোগ করেন, তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনকালে বাংলায় গণতন্ত্র লুণ্ঠিত হয়েছে৷ রাজ্যে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে৷ রাজ্যজুড়ে পুলিশরাজ চলছে৷ রথযাত্রা প্রসঙ্গ উসকে শাহ জানান, এ রাজ্যে বিরোধীদের কোনও মিটিং-মিছিল করতে দেওয়া হচ্ছে না৷ তাঁদের আটকে দেওয়া হচ্ছে৷ তিনি জানান, তৃণমূলের আমলে রাজ্যে গরু পাচার বেড়েছে৷ সিন্ডিকেট রাজ চলছে৷ বাংলাকে কাঙাল বানিয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ ক্ষমতায় এলে এই সমস্ত কিছু বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন শাহ৷ ব্রিগেডের সভামঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণে কোনও কসুর করেননি বিরোধীরা৷ মালদহের সভামঞ্চ থেকে সেই আক্রমণের উত্তর দিলেন অমিত শাহ৷ ‘মহাগঠবন্ধন’কে আক্রমণ করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, ‘‘ওটা ক্ষমতালোভীদের মহাজোট৷ ওরা চায় মজবুর সরকার৷ কিন্তু আমরা চাই মজবুত সরকার’’
[কর্মবিরতি প্রত্যাহার কর্মীদের, অচলাবস্থা কাটল হলদিয়া বন্দরে]
সম্প্রতি লোকসভায় পাশ হয়ে গিয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল৷ এদিনের সভা থেকে এই বিলকে হাতিয়ার করেন অমিত শাহ৷ সুকৌশলে রাজ্যের শরণার্থী হিন্দু ভোটব্যাংকে কাছে টানার চেষ্টা করেন মোদির বিশ্বস্ত এই সেনাপতি৷ স্পষ্ট ভাষায় জানান, ক্ষমতায় এলে পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী সমস্ত শরণার্থী বাংলাদেশি হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেবে বিজেপি৷ একজনকেও দেশ ছাড়তে হবে না৷ হবিবপুরের সভা থেকে কেন্দ্রের পূর্ববর্তী সরকার কংগ্রেসকেও আক্রমণ করেন অমিত শাহ৷ তথ্য পেশ করে জানান, শাসনকালের শেষ পাঁচ বছরে পশ্চিমবঙ্গকে এক লক্ষ ৩২ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সাহায্য করেছিল কংগ্রেস৷ তুলনায় সাড়ে চার বছরে বিজেপি দিয়েছে, সাড়ে তিন লক্ষ কোটি টাকার বেশি অর্থ৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.