বাবুল হক, মালদহ: লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ২২টি আসনকে ইতিমধ্যেই টার্গেট করেছে বিজেপি৷ লক্ষ্য পূরণে প্রাথমিক রণকৌশলও প্রস্তুত করে ফেলেছেন তাঁরা৷ আর সেমতোই লোকসভার প্রচার-পর্বে কেবল পশ্চিমবঙ্গে ৩২টি জনসভা করতে চলেছে গেরুয়া শিবির৷ মঙ্গলবার মালদহে অমিত শাহের সভা শেষে একথা জানালেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ তিনি জানান, সভায় উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ ছাড়াও অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাদের৷
[মা হারা হনুমান শাবককে পরম স্নেহে লালন করছে কিশোরী ]
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘এ রাজ্যে মোট ৩২টা জনসভা হবে৷ তারমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করবেন তিনটি জনসভা৷ যেগুলি হতে পারে আসানসোল বা দূর্গাপুর, জলপাইগুড়ি, কৃষ্ণনগর বা কলকাতায়৷ এছাড়া বাকি সভাগুলি করবেন অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতা ও অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা৷’’ তিনি জানান এই বত্রিশটা সভার জন্য ইতিমধ্যে আমন্ত্রণ জানান হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদের৷ জনসভার স্থান ও সময় লিখিত আকারে পৌঁছে গিয়েছে তাঁদের দপ্তরে৷ আবেদন করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী নীতীন গড়করি, স্মৃতি ইরানি, যোগী আদিত্যনাথ, রঘুবর দাস-সহ আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষ বিজেপি নেতাকে৷
[ঘরে ফিরবেন নেতাজি, এখনও অপেক্ষায় কাটোয়ার চট্টোপাধ্যায় পরিবার]
মঙ্গলবার জ্বর নিয়েই মালদহের সভাতে বক্তৃতা দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি৷ বুধবার ঝাড়গ্রাম ও সিউড়ি এবং বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগর ও জয়নগরে সভা করার কথা ছিল তাঁর৷ কিন্তু, শারীরিক অসুস্থতার কারণে মঙ্গলবারই তিনি ফিরে যান নয়াদিল্লিতে৷ চিকিৎসকের অনুমতি পেলে তবেই বুধবারের সভায় উপস্থিত থাকবেন শাহ৷ ফলে আগামী দু’দিনের চারটি জনসভায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির আসা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে দিলীপ ঘোষ জানান, ওই সভাগুলিতে অমিত শাহ একান্ত না আসলে, কোনও না কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আসবেন৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.