রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: চলতি মাসের শেষেই রাজ্যে আসতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ও বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda)। তবে দুজনে পৃথক কর্মসূচিতে আসবেন। সরকারি কর্মসূচি রয়েছে অমিত শাহর। তিনি উত্তরবঙ্গের তিনবিঘাতে যেতে পারেন। আর বঙ্গ বিজেপির রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠকে আসবেন নাড্ডা। সরকারি সফরে আসা অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপি নেতাদের।
এপ্রিলের শেষেই বিজেপির রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠক হবে কলকাতায়। সেখানে সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা ও সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষ আসবেন। ওই দুই শীর্ষ নেতার কাছে সময় চেয়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের সময় মতোই রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠকের দিন ঠিক করা হবে। বঙ্গ বিজেপিতে ডামাডোল অবস্থা। আদি-নব্য দ্বন্দ্বে জর্জরিত দল। বিক্ষুব্ধ শিবিরও সক্রিয়। পুরনো নেতা-কর্মীদের বড় অংশ বসে গিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
আর দলের স্বাস্থ্যের হাল ফেরাতে জে পি নাড্ডা আসছেন বলে খবর। দলের মধ্যে বিদ্রোহ থামাতে জে পি নাড্ডা কী ভূমিকা নেন সেদিকে নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলেরও। মূলত বাংলায় দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মেটাতেই রাজ্য কর্মসমিতির প্রথম বৈঠকে থাকতে চান নাড্ডা। বিজেপি সভাপতি তাঁর আসার দিন জানালেই রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠকের দিন চূড়ান্ত হয়ে যাবে।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কলকাতায় এলে তাঁর সঙ্গে বিজেপি নেতারা দেখা করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট দেবেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, রাজ্যে দলের সংগঠনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাদ যাওয়া কয়েকজন নেতাকে পুনর্বাসন দিয়ে ক্ষোভ মেটানোর চেষ্টা করেছে বঙ্গ বিজেপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী।
একাধিক ডিপার্টমেন্টের ইনচার্জ ও কো-ইনচার্জদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে দেবাশিস মিত্র, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, তুষার মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন বিধায়ক দুলাল বর, বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরি, দেবজিৎ সরকার, বিজয় ওঝা, কিশোর করদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যদিও ওই নেতারা মনে করছেন, গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নামমাত্র কোনও দায়িত্ব দেওয়ারই সামিল ডিপার্টমেন্টের ইনচার্জ করা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.