নন্দন দত্ত, সিউড়ি: চিকিৎসক নন, অ্যাম্বুল্যান্সে ছিলেন এসি মেকানিক। বর্ধমান থেকে কলকাতা আনার পথে মারা গিয়েছিল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। মৃত কিশোর ছিল বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দা। আর এবার সিউড়িতে অ্যাম্বুল্যান্স চালকের হাতে মার খেলেন এক প্রসূতি। মারের চোটে তাঁর কোল থেকে ছিটকে পড়ে ২ দিনের সদ্যোজাত। আক্রান্ত হয়েছেন ওই মহিলার স্বামীও। অভিযোগ, প্রসূতিকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য টাকা চেয়েছিলেন সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স ‘মাতৃযান’-এর চালক। রাজি না হওয়ায় প্রসূতি ও তাঁর স্বামীকে মারধর করা হয়।
[অ্যাম্বুল্যান্সে ডাক্তারের বেশে ‘এসি মেকানিক’, মৃত্যু মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর]
বীরভূমের পাড়ুইয়ের বামুনডি গ্রামে থাকেন সুনয়না বিবি। গত রবিবার সিউড়ি সদর হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। মঙ্গলবার স্ত্রীকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া জন্য অ্যাম্বুলেন্স ডাকতে গিয়েছিলেন সুনয়নার স্বামী মোজানূর মোল্লা। প্রসূতি ও নবজাতককে হাসপাতালে নিয়ে আসা ও বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নিঃখরচায় অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা চালু করেছে সরকার। ওই অ্যাম্বুলেন্সগুলির মাতৃযান নামে পরিচিত। স্ত্রী ও সন্তানকে মাতৃযানে চাপিয়েই বাড়ি নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন মোজানূর। অভিযোগ, সিউড়ি সদর হাসপাতালের এক মাতৃযান চালক তাঁর কাছ থেকে টাকা চান। টাকা দিতে রাজি হননি মোজানূর। এরপর অন্য মাতৃযান চালকরা ওই ব্যক্তিকে রীতিমতো ঘিরে ধরে মারধর করতে শুরু করেন। স্বামীকে বাঁচাতে ছুটে যান মোজানূরের স্ত্রী সুনয়না। তাঁর কোলে ছিল দু’দিনের নবজাতক। কিন্তু, প্রসূতিকেও রেহাই দেননি মাতৃযানের চালকরা। অভিযোগ, সুনয়নাকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। তাঁর কোল থেকে ছিটকে পড়ে দুধের শিশুটি। গুরুতর আহত সুনয়না, মোজানূর ও তাঁদের সন্তান ভরতি সিউড়ি হাসপাতালে। হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন, ওই দম্পতি ও নবজাতকের আঘাত তেমন গুরুতর নয়। শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। এদিকে, এই ঘটনায় অভিযুক্ত অ্যাম্বুল্যান্স চালকের বিরুদ্ধে সিউড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
ছবি: বাসুদেব ঘোষ
[ইরাকে নিহত তেহট্ট ও চাপড়ার দুই যুবকের দেহ ফিরল, ক্ষতিপূরণ চেয়ে ক্ষোভ স্থানীয়দের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.