সৌরভ মাজি, বর্ধমান: প্রসূতি কিংবা সদ্য মা হওয়া মহিলাদের জন্য বরাদ্দ সরকারি অ্যাম্বুল্যান্সে (Ambulance) চড়া দামে যাত্রী পরিবহণ করা হচ্ছিল। মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর থেকে কলকাতার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ১০ জন রাজমিস্ত্রীকে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বর্ধমানে (Bardhaman) কার্জন গেট চত্বরে ট্রাফিক পুলিশ (Traffic Police) আটক করে অ্যাম্বুল্যান্সটি। চালককেও আটক করা হয়েছে।
ধরা পড়ার পর অ্যাম্বুল্যান্স চালক শিশির কুমার দাস জানান, বুধবার কলকাতা মেডিক্যাল থেকে বীরভূমের নলহাটিতে এক প্রসূতিকে নামাতে যান। সেখান থেকে তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে যান। অভিযোগ সেখান থেকে ফেরার পথেই জঙ্গিপুরে ১০ জন রাজমিস্ত্রীকে মোটা টাকার ভাড়ায় অ্যাম্বুল্যান্সে চাপায় চালক। পথে অন্যত্র সমস্যা না হলেও বর্ধমানের কার্জন গেটে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় অ্যাম্বুল্যান্সটি আটকায়। তাতে কোনও রোগী ছিল না। ঠাসাঠাসি করে যাত্রী বোঝাই ছিল। ১০ জন রাজমিস্ত্রী এবং চালক ও খালাসি মিলে মোট ১২ ছিল সরকারি অ্যাম্বুল্যান্সটিতে।
জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধীনে এই অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা বিনামূল্যে দিয়ে থাকে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। প্রসূতিকে বাড়ি থেকে হাসপাতালে আনা, অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা, প্রসবের পর মা ও শিশুকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে ব্যবহার করা হয় অ্যাম্বুল্যান্সটি। তবে তার বদলে অ্যাম্বুল্যান্স চালক যাত্রী পরিবহণ করছিলেন মোটা টাকা ভাড়ায়। পেশায় রাজমিস্ত্রী রবিরুল শেখ যাচ্ছিলেন অ্যাম্বুল্যান্সে। তিনি বলেন, “আমাদের বাড়ি জঙ্গিপুরে। আমরা বাইরে কাজে যাচ্ছি। রাস্তায় আমাদের দেখে অ্যাম্বুল্যান্স চালক বলে সাঁতরাগাছি পৌঁছে দেবে। আমাদের প্রত্যেকের কাছে ২৫০ টাকা করে ভাড়া চেয়েছিল। তাতেই রাজি হয়েছিলাম আমরা।” পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে বলেই পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.