সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতীচী বিতর্কে নয়া মোড়। এবার এই ইস্যুতে ক্ষোভপ্রকাশ করে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva-Bharati University) উপাচার্যকে চিঠি দিলেন অমর্ত্য সেন। উল্লেখ্য, গত শনিবার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের জমি মাপজোকের জন্য রাজ্য সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছিল বিশ্বভারতী। চিঠিতে তারই তীব্র বিরোধিতা করেন তিনি।
সম্প্রতি অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের বাড়ি ‘প্রতীচী’ নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে, ওই বাড়ির খানিকটা অংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি। অমর্ত্য সেনের পরিবার বেআইনিভাবে তা দখল করে বাড়ি বানিয়েছে। শান্তিনিকেতনে প্রতীচীর জমি বিতর্ক নিয়ে রাজনৈতিক মহলে এখনও চলছে জোর শোরগোল। তাতে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেন। পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এর আগে তাঁর চিঠির পালটা জবাব দেন অর্মত্য সেন। ‘আপনার সমর্থনে ভরসা পেলাম’ মুখ্যমন্ত্রীকে সেকথা জানিয়েছিলেন তিনি।
প্রতীচী বিতর্কে সোমবার বিশ্বভারতীর উপাচার্যের উদ্দেশে চিঠি পাঠান অমর্ত্য সেন (Amartya Sen)। বিশ্বভারতীর জায়গা দখল করে রাখার দাবি খারিজ করেন। তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেন, “১৯৪০ সালে পিতা আশুতোষ সেনের সঙ্গে বিশ্বভারতীর ৯৯ বছরের লিজ দলিল তৈরি হয়। দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও বিশ্বভারতী গত সাত দশক ধরে লিজ বহির্ভূত অতিরিক্ত জমি ফেরত নেওয়ার জন্য আশুতোষ সেনকে কোনও নোটিস দেয়নি। ২০০৬ সালে জমি মিউটেশনের জন্য বিশ্বভারতীর কাছে আবেদন করলেও কোনও অতিরিক্ত জমির কথাও বলেনি। ৮০ বছরের পুরোনো নথির অপব্যবহার করা হয়েছে।” বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কার্যত তাঁকে হেনস্তা করছে বলেও দাবি অমর্ত্য সেনের। মিথ্যাচারের জন্য উপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
চিঠির বিষয়টি কার্যত অস্বীকার করেছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। তিনি বলেন, “চিঠিটিতে অমর্ত্য সেনের সই নেই। তাই আমাদের যথেষ্ট সন্দেহ আছে চিঠিটা সত্যি ওঁনার দেওয়া কি না। যুক্তির খাতিরে চিঠিটি ওঁর ধরে নিলে শব্দচয়ন নিয়ে আমার দুঃখ হয়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.