নন্দন দত্ত, সিউড়ি: অমর্ত্য সেন (Amartya Sen) বনাম বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল আরও ২০ দিন। বুধবার সিউড়ি জেলা আদালতে বিচারক অনুপস্থিত ছিলেন। ভারপ্রাপ্ত বিচারকের এজলাসে শুনানি করাতে রাজি ছিলেন না নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। তাঁর আপত্তিকে মান্যতা দেন বিশ্বভারতীয় কর্তৃপক্ষও। ফলে মামলার শুনানি পিছিয়ে যায়। ‘প্রতীচী’র জমি সংক্রান্ত মামলার শুনানি আগামী ৩০ মে।
সিউড়ি জেলা আদালত বিচারক সুদেষ্ণা দে চট্টোপাধ্যায় এদিন অনুপস্থিত ছিলেন। জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর ২টোয় শুনানির কথা ছিল। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে আদালত সকালে চলছে। ফলে এদিন কলকাতা থেকে আইনজীবী বা বিচারকরা সঠিক সময়ে হাজির হতে পারেননি বলে আদালত সূত্রে খবর। সেশন জজ উপস্থিত না থাকায় ভারপ্রাপ্ত চতুর্থ জেলা জজ স্মরজিৎ মজুমদারের এজলাসে অমর্ত্য সেনের জমি মামলার শুনানি হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সকাল নটায় শুনানি শুরু হয়। কিন্তু তাতে রাজি ছিলেন না অমর্ত্য সেনের আইনজীবী সৌমেন্দ্র রায়চৌধুরী। অর্মত্য সেনের আইনজীবী আপত্তিকে মান্যতা দেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। ফলে মামলার শুনানি পিছিয়ে যায়। পরবর্তী শুনানি চলতি মাসের শেষে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই জমি নিয়ে অমর্ত্য সেন ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অশান্তি চলছে। জল আগেই গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত। সম্প্রতি বিশ্বভারতী উচ্ছেদ নোটিস পাঠায় অমর্ত্য সেনকে। ৬ মে জমি খালি করার শেষ দিন হিসেবে ধার্য করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় সেখানে। প্রয়োজনে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বল প্রয়োগ করবে এমন হুঁশিয়ারিও দেয়।
পালটা উচ্ছেদে স্থগিতাদেশের আরজি জানিয়ে বাধ্য হয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। বিচারপতি বিভাসরঞ্জন দে উচ্ছেদের নোটিসে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেন। বীরভূমের জেলা জজ আদালতে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থাই নিতে পারবে না বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমন পরিস্থিতি জমির শুনানি ফের পিছিয়ে গেল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.