সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দাঙ্গা-হিংসা-ধর্মীয় বিভাজন-উন্মাদনায় খবরের শিরোনামে বসিরহাট। কিন্তু কারা বাধাল এই গণ্ডগোল? স্থানীয় বাসিন্দারা আঙুল তুলছেন বহিরাগতদের দিকে। কলঙ্কের দাগ মুছে তাঁদের সাফ কথা, হিন্দুর পাশে মুসলিম এসে দাঁড়াতেই রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে এই দাঙ্গা। এবার এই উসকানি নিয়ে মুখ খুললেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন। জানালেন, যদি কেউ উসকানি দেয় তবে নিশ্চিতই তা চিন্তার বিষয়।
[ বসিরহাটে ভোজপুরি ছবির দৃশ্য কেন ভাইরাল, মোদিকে তোপ কংগ্রেসের ]
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা কখনওই পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্য নয়, অন্তত এমনটাই বিশ্বাস করেন সংখ্যাগরিষ্ঠ বঙ্গবাসী। এমনকী বসিরহাটের মানুষও তাই বিশ্বাস করেন। তা সত্ত্বেও সামান্য একটা ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বসিরহাট-বাদুড়িয়া। প্রশ্ন উঠছিল, যে বাসিন্দারা এতদিন হাতে হাত রেখে বাস করলেন, তাঁরা আচমকা এমন উন্মাদনার শিকার হলেন কোথা থেকে? সেখান থেকেই প্ররোচনা ও বহিরাগতদের হস্তক্ষেপের কথা উঠছিল। এখন স্থানীয় বাসিন্দারা তা স্পষ্ট করেই জানাচ্ছেন। বাইরে থেকে লোক চড়াও হয়েই যে ভাঙচুর, আগুন লাগিয়েছিল তা বলছেন তাঁরা। একে অপরকে রক্ষা করার গল্পও শোনাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতেই প্ররোচনা ও বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে বিশেষ এক রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এ নিয়ে অমর্ত্য সেনকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “যদি কেউ অশান্তিতে উসকানি দেয়, তবে নিশ্চিতই তা চিন্তার বিষয়। এতদিন এখানে হিন্দু মুসলিম একসঙ্গেই ছিলেন, হঠাৎ কী হল তা ভেবে দেখতে হবে। আর এ নিয়ে হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দেওয়াও ঠিক হবে না। যে সমস্যার জন্য এই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে তাও দূর করতে হবে।”
[ বসিরহাটে অভিযুক্ত কিশোরের বাড়ি বাঁচাতে এগিয়ে আসেন মুসলিমরাই ]
প্রসঙ্গত, ক’দিন আগেই বসিরহাটের দাঙ্গা নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের একহাত নিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মহম্মদ একলাখের ঘটনা থেকে শুরু করে যাঁরা এই ধরনের ঘটনার নিন্দা করেছেন, তাঁদের তুলোধোনা করেন। যদিও বসিরহাটের দাঙ্গার নামে ভোজপুরি সিনেমার দৃশ্য বা গুজরাটের দাঙ্গার ছবি ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধেই। দাঙ্গা পরিস্থিতি বাধানোর জন্য বহিরাগতদের প্ররোচনা যে অনেকাংশেই দায়ী, সে ব্যাপারে সোচ্চার বাসিন্দারাই। আর এ নিয়েই এবার নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করতে গোপন করলেন না নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.