Advertisement
Advertisement

গাছে হাঁড়ি বেঁধে পাখিদের বিকল্প বাসস্থান গড়ছেন বনকর্মীরা

হাঁড়িতে রয়েছে পাখিদের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থাও।

Alternative nest for bird
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:February 27, 2019 8:45 pm
  • Updated:February 27, 2019 8:45 pm  

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: বনাঞ্চলে পূর্ণ বয়স্ক গাছ কাটার মরশুমে পক্ষীকূল যাতে আশ্রয়হীন হয়ে না পড়ে তাই গাছে হাঁড়ি বেঁধে বিকল্প বাসার ব্যবস্থা করছে বনদপ্তর। সেই নীড় ছোট হোক তাতে ক্ষতি নেই! কিন্তু ওই হাঁড়িতেই পাখিদের আশ্রয় দিয়ে তাদের বাঁচাতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে বনদপ্তর। পুরুলিয়ার কংসাবতী দক্ষিণ বনবিভাগের মানবাজার দুই নম্বর বনাঞ্চল এই কাজ করছে। তারা এই বনাঞ্চলের গাছে-গাছে প্রায় সাড়ে তিনশো হাঁড়ি বাঁধার কাজ হাতে নিয়েছে।

ইতিমধ্যেই ওই বনাঞ্চলে দেড়শোর বেশি গাছে হাঁড়ি বাঁধা হয়ে গিয়েছে। সেই হাঁড়িতে বাসাও করছে চড়ুই, শালিখ, টিয়া, কাজললতার মত ক্রমশ হারিয়ে যেতে থাকা পাখিরা। এই বিভাগের ডিএফও অসিতাভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মানবাজার দুই নম্বর বনাঞ্চলের এই কাজ সত্যিই দারুন। পক্ষীকূল বাঁচাতে এই কাজ যাতে অন্যান্য বনাঞ্চলেও শুরু করতে পারি সেই বিষয়ে আমরা ভাবনাচিন্তা করছি।”

Advertisement

বিহার থেকে বনগাঁয় মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক, ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করলেন শিক্ষক ]

মূলত শীতের মরসুম থেকেই পূর্ণ বয়স্ক গাছ কাটার কাজ শুরু হয়। যাকে বলে ‘ক্লিয়ার ফেলিং কুপ’। এই কাজ গরমের আগে পর্যন্ত চলে। একটা সময় পর পূর্ণবয়স্ক গাছের আর শ্রীবৃদ্ধি ঘটে না। তাই বনদপ্তর তা কেটে সেখানে বর্ষার মরশুমে আবার নতুন করে গাছ লাগায়। বিভিন্ন গাছের ক্ষেত্রে ‘রোটেশন ইয়ার’ থাকে। বনদপ্তরের এই কাজে আচমকাই জঙ্গল যেন ফাঁকা হয়ে যায়। ফলে গাছে-গাছে বাসা বাঁধা পাখিরা নীড় হারিয়ে অসহায় ভাবে ঘুরতে থাকে। তাই পক্ষীকূলের রক্ষার্থে তাদের বাসস্থানে একটি গাছে একাধিক হাঁড়ি বেঁধে ‘অলটারনেটিভ হ্যাভিটেট ম্যানেজমেন্ট অফ অ্যভিফৌনা’ নামে এই প্রকল্প হাতে নেয়। মানবাজার দুই নম্বর বনাঞ্চলের আধিকারিক আলমগীর হক বলেন, “চড়ুই, শালিখ, কাঠঠোকরার মত পাখি নানা কারণে হারিয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম কারণ তাদের বাসস্থানের সমস্যা। গ্রীষ্মের আগে পর্যন্ত জঙ্গলে আমরা পূর্ণবয়স্ক গাছ কাটার কাজ করি। এইসময় গাছে বাসা বেঁধে থাকা পাখিদের যাতে বাসস্থানের কোন সমস্যা না হয় তাই আমরা অন্যান্য গাছে একাধিক হাঁড়ি বাঁধছি। যাতে সেখানে তারা আশ্রয় পায়।”

পাখিরা যাতে এই হাঁড়িতে স্বাভাবিক ভাবে থাকতে পারে তাই হাঁড়ির ভেতরে শুকনো পাতা, ডালও রেখে দেওয়া হয়েছে। যাতে সহজেই তারা গাছের কোঠরের মতই মানিয়ে নিতে পারে। এছাড়া হাঁড়ির ভেতরে যাতে জল না জমে যায় তাই পেরেক দিয়ে ছিদ্রও করে দেওয়া হচ্ছে।  

ছবি- অমিত সিং দেও

অসুস্থ পরীক্ষার্থী, হাসপাতালেই পরীক্ষার ব্যবস্থা সংসদের ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement