Advertisement
Advertisement

Breaking News

Maldah

মরেও শান্তি নেই, শ্মশানেও ‘তোলা’র দাবি! শোরগোল মালদহে

অভিযোগ শুনেই তড়িঘড়ি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক।

Alleged demand of money at crematorium at Maldah

প্রতীকী ছবি

Published by: Paramita Paul
  • Posted:March 25, 2025 2:55 pm
  • Updated:March 25, 2025 2:57 pm  

বাবুল হক, মালদহ: মরেও শান্তি নেই। শূন্য পকেটে শ্মশানে? না পকেট ফাঁকা রাখা চলবে না। কারণ, মরে যাওয়ার পরেও দিতে হচ্ছে ‘তোলা’! নির্ধারিত ফি-র সঙ্গে ‘তোলা’ না দিলে দেহ উঠবে না চুল্লিতে। দাহ হবে না দেহ। মালদহের সাদুল্লাপুর শ্মশানে সৎকারে ‘তোলাবাজি’র এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ওঠায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার প্রশাসনিক মহলে। অভিযোগ শুনেই তড়িঘড়ি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক নিতীন সিংহানিয়া। প্রয়োজনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করতে বলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

মালদহ শহর থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার দূরে কালিয়াচক-২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রয়েছে সাদুল্লাপুর মহাশ্মশান। এই মহাশ্মশান দেখভালের ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে মালদহ জেলা পরিষদ। জেলা পরিষদের কর্মীরা শ্মশানের কাজের জন্য নিযুক্ত রয়েছেন। শবদাহ করার জন্য বৈদ্যুতিক চুল্লি রয়েছে। সেই চুল্লিতে একজনের দেহ দাহ করতে ৯৯৯ টাকা ফি নেয় জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। এই ফি নেওয়ার জন্য সেখানে একটি কাউন্টার রয়েছে। ফি নেওয়ার বিনিময়ে রসিদ দেওয়া হয়। সেই টাকা জমা পড়ে জেলা পরিষদের কোষাগারে। কিন্তু ৯৯৯ টাকা ফি দেওয়ার পরও দিতে হচ্ছে আরও অতিরিক্ত টাকা, যা রসিদ ছাড়াই নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগ তুলেছেন খোদ জেলা পরিষদের সদস্য সায়েম চৌধুরি। জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন তিনি।

Advertisement

জেলার সভাধিপতি এবং জেলাশাসকের দপ্তরে অভিযোগপত্র জমা করেছেন মোথাবাড়ির আসন থেকে নির্বাচিত জেলা পরিষদের কংগ্রেস সদস্য সায়েম চৌধুরি। তাঁর অভিযোগ, “শ্মশানে দেহ সৎকার করতে গিয়েও তোলা দিতে হচ্ছে, এটা লজ্জার বিষয়। একটা চক্র গড়ে উঠেছে। তারা তোলা আদায় করছে। ফি-এর বাইরে অতিরিক্ত তোলা না দিলে দেহ পড়ে থাকবে, চুল্লিতে উঠবে না। দূর-দূরান্ত থেকে অনেক গরিব মানুষ শবদাহ করতে আসেন। তাঁরা তোলা দিতে পারেন না বলে সন্ধ্যার পর সবশেষে দেহ দাহ করার সুযোগ পান। রীতিমতো জুলুমবাজি করা হয়।”

এদিন সাদুল্লাপুর মহাশ্মশান গিয়ে দেখা যায়, সেই একই কারবার চলছে। অভিযোগ, প্রকাশ্যেই রেট চার্ট বলে দেওয়া হচ্ছে। ৯৯৯ টাকা সরকারি ফি, সেই সঙ্গে উচ্চবিত্ত কোনও ব্যক্তির দেহ থাকলে আরও ‘এক্সট্রা’ দুই হাজার টাকা। মধ্যবিত্ত এক হাজার, নিম্নবিত্ত হলে অন্তত পাঁচশো টাকা দিতেই হবে। নইলে সৎকার হবে না। দেহ পড়ে থাকবে ঘন্টার পর ঘন্টা বলে অভিযোগ। এই শ্মশানে প্রত্যহ ৪০ থেকে ৫০টি করে দেহ সৎকার করা হয়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ‘তোলা’ নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। মালদহ জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন বলেন, “বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি। ওখানে শ্মশান কমিটি রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলা হবে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement