Advertisement
Advertisement
Diamond Harbour

আতঙ্কে খোদ বিচারকরাই, হুমকি দিচ্ছে পুলিশ! জেলা জজকে চিঠি ৩ বিচারকের

লোক পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার কর্মী কুমারেশ দাসের বিরুদ্ধে।

Alleged assault on judges' quarters at Diamond Harbour
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:September 11, 2024 5:11 pm
  • Updated:September 11, 2024 6:38 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটি শিশু নিগ্রহ মামলার রায় পছন্দ হয়নি! সেই আক্রোশে ডায়মন্ড হারবারে বিচারকদের আবাসনে দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগ। লোক পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে ওই জেলা পুলিশের কর্মী কুমারেশ দাসের বিরুদ্ধে। আতঙ্কে রয়েছেন বিচারকরাই! নিরাপত্তার অভাব উল্লেখ করে আলিপুর জেলা জজকে চিঠি লিখলেন ৩ বিচারক। 

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাই কোর্টের রেজিস্টারকে চিঠি দিয়েছেন জেলা জজ। অভিযোগ পেয়ে ডায়মন্ড হারবার আদালত থেকে ঘুরে গেলেন জেলা জজ। সঙ্গে ছিলেন ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, মহকুমা শাসক-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে শোকজ করা হয়েছে।

Advertisement

৯ তারিখ ডায়মন্ড হারবার আদালতের ৩ বিচারক জেলা জজ শুভ্রদীপ মিত্রকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, ৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টার সময় আবাসনের গেটে পাহারায় থাকা এক হোমগার্ড জানান, কুমারেশ দাস নামে এক পুলিশ আধিকারিক এক বিচারকের আবাসনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে ২ ব্যক্তিকে পাঠিয়েছেন। তিনি ঢুকতে বাধা দিলে রাত দেড়টা নাগাদ মুখে কাপড় বাঁধা ২ দুষ্কৃতী আবাস পাহারার দায়িত্বে থাকা হাউস গার্ডদের কাছে আবাসনের ভিতরে ঢোকার অনুমতি চায়। কিন্তু বিচারকের প্রাণের ঝুঁকি হতে পারে এই আশঙ্কায় হাউস গার্ডরা তাদের অনুমতি দেননি।

[আরও পড়ুন: স্বামী-সন্তান ছেড়ে প্রেমিককে বিয়ে! স্ত্রীর দ্বিতীয় স্বামীকে ‘খুন’ যুবকের]

এর মধ্যেই এক বিচারক সেই রাতেই ১টা ১৩ নাগাদ বিচারক ডায়মন্ড হারবার থানার আইসিকে ফোন করেন। প্রথমে ফোন ধরেননি তিনি। পরে ফোনে তাঁকে গোটা বিষয়টি জানালে ২০ মিনিট পর তিনি বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। বিচারকরা আরও জানিয়েছেন, দুষ্কৃতী হামলার পর তাঁরা নিরপত্তার অভাব বোধ করছেন। পরিবারকে নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটছে।

বিচারকদের চিঠির পরিপ্রক্ষিতে, আলিপুর জেলা জজ ঘটনার কথা উল্লেখ করে চিঠি দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের রেজিস্টারকে। ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ। বিচারকদের জেলা আবাসনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পুলিশ সুপার রাহুল গোস্বামী বলেন, ” আমরা আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছি। একজনকে আটক করা হয়েছে। নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। আগে চারজন নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। তা বাড়িয়ে ৯ জন করা হয়েছে। বিচারকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তাঁদের দাবি মতো নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে।”  অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে ক্লোজ করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। ৭ দিনের মধ্যে তাকে শো কজের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। 

[আরও পড়ুন: ‘কর্মবিরতিতে অটল ডাক্তাররাও গণপিটুনির শিকার হতে পারেন’, মত প্রাক্তন সেনা কমান্ডোর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement