সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টার অভিযোগ প্রতিবারই কমবেশি ওঠে। তবে এভাবে ভোটের আগের দিন এলে ‘খরচ’ দিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির ভিডিও সম্ভবত আগে প্রকাশ্যে আসেনি। মঙ্গলবার এমনই একটি ভিডিও (Viral video) ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে ঝাড়গ্রামে (Jhargram)। বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে ভোট কেনার চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে কমিশনে (Election Commission) যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন তৃণমূল (TMC) প্রার্থী বীরবাহা হাঁসদা।
যে ভিডিওটি ঘিরে বিতর্ক তাতে দেখা যাচ্ছে, ঝাড়গ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুখময় শতপথী কর্মী সমর্থকদের নিয়ে প্রচারে বেরিয়েছেন। ঝাড়গ্রাম সবজি বাজার এলাকায় তিনি মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন সমর্থন চাইছেন। সেই সময় কেউ একজন পিছন থেকে বলছেন, “ভোটের আগের দিন আসবি, দিয়ে দেব খরচা”
যদিও সুখময়ের সঙ্গে থাকা কে এই কথা বলছেন তা ভিডিও দেখে বোঝার উপায় নেই। তাঁর মুখ দেখা যায়নি। আর কাকে কথাগুলি বলা হচ্ছে তাও বোঝা যায়নি। তবে ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পরই তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সুখময় শতপথী যদিও দাবি করেছেন, তাঁর দলের কেউ একথা বলেননি। কেউ পিছন থেকে কিছু বলে থাকলে তার দায় তাঁর নয়। তিনি নিজের মতো করে প্রচার করছেন মানুষের সমর্থন পাচ্ছেন। সংগঠনের ভিত্তিতেই তাঁরা ভোটে জিতছেন। তৃণমূল দীর্ঘদিন ধরে টাকা ছড়িয়ে ভোটে জেতে, তাই তারাই এই অভিযোগ তুলছে।
তবে সুখময় শতপথীর দাবি উড়িয়ে ঝাড়গ্রামের তৃণমূল প্রার্থী বীরবাহা হাঁসদা জানিয়েছেন তিনি নির্বাচন কমিশনের অভিযোগ করবেন। তিনি বলেন, “বিজেপি বুঝে গিয়েছে তারা জিততে পারবে না তাই টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করছে। কিন্তু মানুষ এসব বুঝে গিয়েছে, ভোটের পর এদের ছুঁড়ে ফেলে দেবেন। এর আমরা বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাব।”
এর আগে কয়েক দিন আগে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে টাকা, শাড়ি, মোবাইলে রিচার্জ করে দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার। এমনকি ভোটারদের হাতে টাকা দিয়ে সে ছবিও তুলে রাখার অভিযোগ ওঠে। যাঁদের টাকা দেওয়ার চেষ্টা হয় তাঁদের অনেকেই আবার তা নিতে অস্বীকার করেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, “আমরা এই সরকারের থেকে অনেক কিছু পেয়েছি। দিদি থাকলে আরও পাব। তাই এক দিন টাকা নিয়ে কী হবে। টাকা নিলেই তো ভোট দেওয়ার জন্য হুমকি দেবে। ছবি তুলে রাখছে যে।” তবে টাকা দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.