Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bardhaman forest department

বন সহায়ক পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ, বর্ধমানের দপ্তরের পড়ল পোস্টার

বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরই পোস্টারগুলি ছিঁড়ে দেন বনকর্মীদের একাংশ।

Allegations of corruption in the appointment of forest assistants, posters in Bardhaman forest department | Sangbad Pratidin
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:February 19, 2021 9:38 pm
  • Updated:February 19, 2021 9:38 pm  

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: বন সহায়ক পদে নিয়োগে টাকার লেনদেন হয়েছে। ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। এমনই অভিযোগ তুলে বর্ধমানের (Bardhaman) বিভাগীয় বনাধিকারিকের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে। বর্ধমান শহরের গোলাপবাগ এলাকায় বন দপ্তরের কার্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচিল সহ বিভিন্ন জায়গায় শুক্রবার বন সহায়ক পদে নিয়োগে দুর্নীতির পোস্টার ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। পরে বনকর্মীদের একাংশ সেই সব পোস্টার ছিঁড়ে দেন। মুছে দেন। যদিও বিভাগীয় বনাধিকারিক দেবাশিস শর্মার দাবি, নিয়োগে কোনও দুর্নীতি হয়নি। পোস্টার দেওয়ার পিছনে চক্রান্ত রয়েছে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। কর্মীদের কেউ এর পিছন থাকতে পারে বলেও বনকর্তাদের অনুমান।

এদিন যে সব পোস্টার দেখা গিয়েছে তার কোনওটিতে লেখা হয়েছে, বন সহায়ক পদে নিয়োগে প্রচুর টাকার লেনদেন হয়েছে। কর্মচারীবৃন্দের নামে দেওয়া এই সব পোস্টারের কোথাও আবার লেখা রয়েছে, বনবিভাগের আধিকারিক ডিএফও দেবাশিস শর্মা বন সহায়ক নিয়োগে কন্ট্রাক্টর বিপ্লব চৌধুরী ও সঞ্জয় দত্তর মাধ্যমে টাকা নিয়ে নিয়োগ করা হয়েছে। প্রমাণ হিসেবে ফরেস্ট গার্ড গণেশ দত্তর ভাইয়ের নামও উল্লেখ করা হয়েছে পোস্টারে। শুধু তাই নয়, বনসহায়কের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে বলে দাবি করা হয় পোস্টারে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরই সেগুলি ছিঁড়ে দেওয়ার কাজ শুরু করে বনকর্মীদের একাংশ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘আমরা রাম, ওরা বিভীষণ’, হিন্দুত্বের অস্ত্রেই বঙ্গে বিজেপি বিরোধী প্রচারের সুর চড়াল শিব সেনা]

বিভাগীয় বনাধিকারিক দেবাশিসবাবু বলেন, “সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। এর পিছনে চক্রান্ত রয়েছে। অনেক সময় কর্মীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ট্রান্সফার করতে হয়েছে। আবার কখনও বকাবকিও করা হয়েছে কাজ নিয়ে। সেই রাগে কেউ করে থাকতে পারে। কারা এই কাজ করেছে, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে তার হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশকে তদন্তের জন্য বলা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, এই বিভাগ থেকে নিয়োগ হয়নি। নিয়ম মেনে সার্কেল থেকে নিয়োগ হয়েছে। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার এই সার্কেলে ১৭০ জন নিয়োগ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

ঘটনায় রাজনৈতিক রংও লেগেছে। বিজেপি (BJP) নেতা সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এতদিন তাঁরা এই অভিযোগ করেছিলেন। এবার তাতেই সিলমোহর পড়েছে এদিনের পোস্টারে। তৃণমূলের পূর্ব বর্ধমান জেলার মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানান, এটা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ব্যাপার। দুর্নীতি হয়ে থাকে তদন্ত হোক। এটা তাঁরাও দাবি করছেন। তবে দেখতে হবে কেউ মিথ্যা প্রচার করে বদনাম করতে চাইছে কি না। দোষ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই জানানো হয়েছে।

[আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যুহীন কলকাতা, রাজ্যে সুস্থতার হার ৯৭.৫৮ শতাংশ ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement