প্রতীকী ছবি
সঞ্জিত ঘোষ , শান্তিপুর: দোলপূর্ণিমার সন্ধ্যায় শান্তিপুরে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা ওই নাবালিকা দশম শ্রেণির ছাত্রী। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে উঠোন লাগোয়া গোয়ালঘরে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ কিশোরীর মায়ের। নির্যাতিতা কৃষ্ণনগর সদর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, অভিযুক্ত যুবক আগে থেকেই তাঁর মেয়েকে জ্বালাতন করত। বার বার বারণ করার পরেও সে নিয়মিত বিরক্ত করত ওই কিশোরীকে। সোমবার কিছুক্ষণের জন্য বাড়ি ছিলেন না তিনি। সেই সময় মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে ঢুকে তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করেন ওই যুবক। বাড়িতে ফিরে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তিনি ও তাঁর ভাশুর। কিছুক্ষণ পরে দেখতে পান গোয়ালঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে নাবালিকা।
লোকসভা ভোটের মুখের এই ঘটনায় রাজনৈতিক রং লাগতে সময় লাগেনি। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, ধর্ষিতা নাবালিকা স্থানীয় বিজেপি বুথ সভাপতির ভাইঝি। আবার যার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তিনি তৃণমূল কর্মী! এই ঘটনা নিয়ে শান্তিপুরে দিনভর ছড়িয়েছে উত্তেজনা। ঘটনার প্রতিবাদে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। উপস্থিত ছিলেন রানাঘাট লোকসভার বিদায়ী সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও রানাঘাট দক্ষিণ বিজেপি জেলা সভাপতি তথা রানাঘাটের বিধায়ক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয় সারা বাংলায় সকলেই তৃণমূল কর্মী। সামনে লোকসভা নির্বাচন। যে কোনও ঘটনায় নিজেদের প্রচারের আলোয় আনতে এই মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। কিন্তু এমন একটা নোংরা ঘটনায় রাজনীতি টেনে আনা ঠিক নয়।
এদিকে বিজেপি এই ঘটনায় তৃণমূলের যোগ দাবি করলেও অভিযুক্ত যুবকের রাজনৈতিক যোগ অস্বীকার করেছেন নির্যাতিতার মা। তিনি বলেন, ” ওই যুবকের নাম রিন্টু বিশ্বাস। বাবার নাম অর্জুন বিশ্বাস। ওর বাবা টোটো চালায়। তবে ওদের কোনও রাজনৈতিক যোগ আছে বলে আমি জানি না। আমার মেয়ের জীবন শেষ করে দিয়েছে ও। আমি চাই ও উপযুক্ত শাস্তি পাক।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.