Advertisement
Advertisement
Howrah

নাবালিকা ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ, অভিভাবকদের বিক্ষোভে উত্তাল হাওড়ার স্কুল, গ্রেপ্তার শিক্ষক

অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা করা হয়েছে।

Allegation of Physical assult, howrah teacher arrested

প্রতীকী ছবি

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:October 3, 2024 8:45 pm
  • Updated:October 3, 2024 8:45 pm  

মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা হাওড়ার গ্রামীণ এলাকার এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। রাগে শিক্ষকদের তালাবন্দি করে রাখে উত্তেজিত জনতা। খবর পেয়ে যায় পুলিশ। ছাত্রীর পরিবারের লোকের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

নিগৃহীতার পরিবার সূত্রে খবর, অভিযুক্ত শিক্ষক বছরখানেক আগে স্কুলে যোগ দিয়েছেন। এর পর থেকে বিভিন্ন সময়ে তিনি ওই ছাত্রীটিকে নানাভাবে যৌন হেনস্থা করেন। অভিযোগ, তার গায়ে, বুকে হাত দেন অভিযুক্ত শিক্ষক। কিন্তু তাকে হুমকি দেওয়ায় ভয়ে সে বাড়িতে কিছু বলেনি। ছাত্রীর মা জানান, গত মঙ্গলবার ছাত্রীটি স্কুলে গিয়েছিল। ওইদিনও অভিযুক্ত শিক্ষক ছাত্রীটির সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। ছাত্রীটি বাড়ি এসে তার ছোট কাকিমাকে বিষয়টি জানায়। তিনি ছাত্রীর মা ও পরিবারের লোকেদের জানান। বিষয়টি পাড়া-প্রতিবেশীদের মধ্যেও জানাজানি হয়ে যায়। বুধবার স্কুল বন্ধ থাকায় কেউ আসেনি।

Advertisement

বৃহস্পতিবার স্কুল খুলতেই সকালে ছাত্রীটির পরিবারের লোক এবং গ্রামবাসীরা স্কুলে যান। তারা প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। তারা অভিযুক্ত শিক্ষককে নিয়ে আসতে বলেন। কিন্তু অভিযুক্ত শিক্ষক তার ব্যক্তিগত কাজে অন্যত্র গিয়েছিলেন। ফলে তিনি স্কুলে আসেননি। গ্রামবাসীদের ধারণা, স্কুলের তরফে অভিযুক্তকে ফোনে বারণ করে দেওয়া হয় স্কুলে যেতে। এতেই সকলে ক্ষেপে ওঠেন। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে গ্রামবাসীরা। স্কুলের গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্রীর মা। এর পরই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলার রুজু করা হয়েছে। পাশাপাশি হুমকি-সহ নানা অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, “অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে পুলিশের পাশাপাশি আমরাও তদন্ত শুরু করেছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” প্রধান শিক্ষক বলেন, “আমি আগে থেকে জানতাম না যে ওই শিক্ষক এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। বৃহস্পতিবারই আমি এই ঘটনার কথা জানতে পারি। পুলিশ এবং শিক্ষা দপ্তরের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে সব কিছু জানিয়েছি।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement