প্রতীকী ছবি।
তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: ক্রমশ আন্তঃরাজ্য ও আন্তর্জাতিক সোনা পাচারের করিডর হয়ে উঠছে শিলিগুড়ি। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় এই এলাকাকেই পাখির চোখ করছে মূলত উত্তর-পূর্ব ভারতের পাচারকারীরা। শনিবার রাতে ফের পাচারের আগে কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগের(ডিআরআই) আধিকারিকদের হাতে সোনা-সহ দুই পাচারকারী গ্রেপ্তার হওয়ার পর এই অভিযোগ আরও বেশি স্পষ্ট।
ডিআরআই আধিকারিকেরা শনিবার রাতে প্রায় ৭০লক্ষ টাকার সোনা-সহ দুই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের নাম, আমজাদ খান ও দুব শেরিং। তাদের বাড়ি যথাক্রমে তামিলনাড়ু ও ভুটান। ডিআরআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুই ব্যক্তি ব্যাংকক থেকে ভুটান ফুলসিলিং বর্ডার দিয়ে সোনা নিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। সেখান থেকে আলিপুরদুয়ার হয়ে শিলিগুড়ি প্রবেশ করে। শিলিগুড়ি জংশন থেকে ট্রেনে করে সেই সমস্ত সোনা নিয়ে কলকাতায় পাচারের ছক কষেছিল অভিযুক্তরা। তবে কলকাতা পাচারের আগে শিলিগুড়ি জংশন স্টেশনে অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। কম্পিউটারের এসএমপিএসের ভিতরে ঢুকিয়ে সোনা পাচারের ছক কষেছিল তারা। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া সোনার আনুমানিক ওজন ১০০০ গ্রাম। আনুমানিক বাজার মূল্য ৬১ লক্ষ ১১ হাজার টাকা। তাদের দু’জনকে রবিবার শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করেছেন। তাদের ১৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করার পাশাপাশি সপ্তাহে একদিন করে শিলিগুড়িতে অবস্থিত ডিআরআই দপ্তরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সরকারি আইনজীবী রতন বণিক বলেন, “এই সোনা পারকারীদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পাচারচক্রের যোগ রয়েছে। উদ্ধার হওয়া সোনার মূল্য ১ কোটি টাকার কম হওয়ায় বিচারক তাদের শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছেন।” উল্লেখ্য, ১নভেম্বর নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে দুই পাচারকারীকে ১ কোটি টাকার বেশি মূল্যের সোনা-সহ গ্রেপ্তার করেছিল ডিআরআই। তার আগে ৩০ জুলাই ১ কোটি ৪০লক্ষের বেশি মূল্যের সোনা সহ নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছিল ডিআরআইয়ের আধিকারিকেরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.