সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: দীর্ঘ লকডাউনে দেশের প্রতিটি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রই ব্যাপকভাবে ধাক্কা খেয়েছে। পর্যটন শিল্প (Tourism) তার মধ্যে অন্যতম। টানা প্রায় ৫ মাস ধরে বন্ধ দেশের বিভিন্ন জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। আনলক ফোরেও তা পুরোদমে চালু হতে পারবে কি না, তার নিশ্চয়তা নেই। এই অবস্থায় পর্যটন শিল্পকে বাঁচাতে প্রতীকী কর্মসূচি গ্রহণ করলেন এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত অংশীদাররা। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় শিলিগুড়ির বাঘাযতীন মোড়ে জমায়েত হওয়ার ঘোষণা করা হল তাঁদের তরফে। শিল্পের আর্থিক ক্ষতি পূরণে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও আবেদন জানাবেন তাঁরা।
মার্চ মাসের শেষ দিক থেকে মে পর্যন্ত টানা লকডাউনে (Lockdown) বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সমস্ত পর্যটন কেন্দ্র। জুন মাসে ধাপে ধাপে আনলক পর্যায় শুরু হলেও পুরোদমে ভ্রমণে ছাড় মেলেনি। তার উপর এখনও পর্যন্ত এক্সপ্রেস ও দূরপাল্লার ট্রেন পরিষেবা পুরোপুরি চালু হয়নি। বিমান চলাচলও করছে না সর্বত্র। তাই পর্যটকরা কীভাবে গন্তব্যে পৌঁছবেন, তা নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা। এদিকে, লকডাউনের বিরতি কাটিয়ে ধীরে ধীরে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে তৈরি হয়ে উঠেছে দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন ছোটখাটো কেন্দ্রও। একইভাবে তৈরি এ রাজ্যের সমুদ্র ও জঙ্গলের পর্যটন এলাকাগুলোও। সব ঠিক থাকলে ৭ সেপ্টেম্বর থেকে পাহাড়ের পর্যটন পুরোপুরি খুলে যাবে।
কিন্তু তাতেও স্বস্তি মিলছে না কিছুতেই। কারণ, এতগুলো দিনে যথেষ্ট ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। সামনে পুজোর লম্বা ছুটি। তারপর ডিসেম্বরেও ভরা পর্যটন মরশুম। শিলিগুড়ির পর্যটন ব্যবসায়ীদের মতে, এখন থেকেই হোটেল-গাড়ির বুকিংয়ের জন্য ফোন করছেন উৎসুক ভ্রমণার্থীরা। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনিক সহযোগিতা ছাড়া সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
তাই কেন্দ্রের কাছে তাঁদের আবেদন, এই শিল্পকে চাঙ্গা করতে আর্থিক সাহায্য করা হোক। মঙ্গলবারের জমায়েত কর্মসূচিতে তাঁরা এই দাবিতেই সরব হতে পারেন। শিলিগুড়ির বাঘাযতীন মোড় ছাড়াও কলকাতার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে এবং বিভিন্ন জেলার জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে জমায়েত হওয়ার কর্মসূচি রয়েছে। এখন সরকার তাঁদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে কী পদক্ষেপ নেন, সেটাই দেখার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.