নিজস্ব সংবাদদাতা: যাঁকে বারবার অভিযোগের নিশানা করেছেন বিরোধীরা, লাভপুরের সেই বিধায়ক মনিরুল ইসলামের কর্মকাণ্ডই এবার গোটা রাজ্যে হতে চলেছে উন্নয়নের আরেক মডেল৷ গত কয়েক বছরে প্রচারের আলো এড়িয়ে নিজের বিধানসভা এলাকায় কার্যত বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলেছেন তিনি৷ নিজে মুসলমান হয়েও হিন্দুদের শ্মশানের ভোল বদলকে একরকম মিশনের পর্যায়েই নিয়ে গিয়েছেন মনিরুল। পরিণতি, লাভপুরে বেশিরভাগ শ্মশানই পেয়েছে প্রাচীরের ঘেরাটোপ৷ ঢালাও সংস্কারও হয়েছে বিভিন্ন শ্মশানঘাটের৷ লাভপুরের বিধায়কের এই কর্মকাণ্ডকেই গোটা রাজ্যে মডেল করে তোলার ভাবনায় বৃহস্পতিবার সিলমোহর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
এদিন বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, রাজ্যের সব শ্মশানই ঘিরে দেওয়া হবে৷ এ জন্য খোলা অবস্থায় থাকা শ্মশান চিহ্নিত করারও নির্দেশ দেন তিনি৷ শুধু তাই নয়, আর্থিক সামর্থ্যের অভাবে যাতে শবদাহ আটকে না যায়, সেই জন্য অনুদানের ঘোষণাও করেন মুখ্যমন্ত্রী৷
মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে একাধিকবার সরব হয়েছে বিরোধীরা৷ প্রচার মাধ্যমের একাংশেও শোরগোল কম হয়নি৷ তবে শেষ পর্যন্ত তেমন কিছুই প্রমাণিত হয়নি৷ এদিন বৈঠকে সেই মনিরুলের প্রসঙ্গ তোলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল৷ শ্মশান ঘিরে দেওয়ায় মনিরুল ইসলামের ধারাবাহিক তৎপরতা উল্লেখ করে তা সর্বত্র চালু করার প্রস্তাব দেন তিনি৷ তাঁর এই প্রস্তাব শুনেই তৎপর হয়ে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং৷ বিরোধীদের আক্রমণের নিশানায় থাকা মনিরুল ইসলামের সেই জনমুখী কর্মকাণ্ডকেই রাজ্যে মডেল করে তুলতে নির্দেশ দেন তিনি৷
নিজের অভিজ্ঞতা মেলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমিও পথ চলতে চলতে দেখি খোলা জায়গায় শবদাহ চলছে৷ কোনও ঘেরাটোপ নেই৷” এর পরই তিনি বিভিন্নশ্মশান পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়ার নির্দেশ দেন৷ রামপুরহাট, দুবরাজপুর, বোলপুর, সিউড়ির একটা বড় অংশে আদিবাসী সম্প্রদায়ের বাস৷ তাঁদেরও নিজস্ব কিছু শ্মশান রয়েছে৷ সেই শ্মশানগুলিও সংস্কার করে প্রাচীর দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে৷ এছাড়া বীরভূম জেলার তারাপীঠ, বক্রেশ্বর ও কঙ্কালীতলাতে মহাশ্মশান রয়েছে৷ বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে মহাশ্মশানগুলিতে বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরির নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.