Advertisement
Advertisement

Breaking News

বিকাশ সিনহা

‘নিরাশ হতে ওস্তাদ সবাই’, চন্দ্রযান ২ নিয়ে হা-হুতাশের মাঝে সমালোচনা বাঙালি বিজ্ঞানীর

শুনুন সাহা ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন ডিরেক্টরের বক্তব্য।

'All love to be depressed',criticises scientist Bikash Sinha on Chadrayaan 2
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:September 7, 2019 5:38 pm
  • Updated:September 7, 2019 5:38 pm  

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: চাঁদের পিঠে নামার পথে সামান্য কিছুটা দূরেই হারিয়ে গিয়েছে চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডার বিক্রম। আর তা নিয়ে নানা মহলে হতাশা দেখে চূড়ান্ত বিরক্তি প্রকাশ করলেন জনপ্রিয় বাঙালি বিজ্ঞানী বিকাশ সিনহা। শনিবার দুর্গাপুর এনআইটি-র ১৫ তম সমাবর্তন উৎসবে যোগ দিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, “আমাদের দেশে সবাই নিরাশ হতে ওস্তাদ। আশা রাখুন, ভরসা রাখুন। ইসরোর বিজ্ঞানীরা
এখনও আশা ছাড়েননি। যতটুকু জানতে পেরেছি, তাঁরা লড়বেন এই অভিযানের শেষ পর্যন্ত।আমি সবরকমভাবে তাঁদের পাশে আছি।”

[আরও পড়ুন: ‘একদিন সফল হবেই মিশন চন্দ্রযান’, আশাবাদী বাংলার বিজ্ঞানী চন্দ্রকান্তের বাবা]

বিক্রমের গতিপ্রকৃতি নিয়ে সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্সের প্রাক্তন ডিরেক্টরের মত, চাঁদের কক্ষপথে হয়ত এখনও ঘুরছে ল্যান্ডারটি। ফের সিগন্যাল পেলে সেখান থেকেই ছবি পাঠাবে। আর তাই চন্দ্রযান ২ ভারতের মহাকাশ গবেষণায় বিরাট সাফল্য বলেও মনে করছেন তিনি। সমগ্র মহাকাশ বিজ্ঞানের পক্ষেও এটি একটি উল্লেখযোগ্য দিন বলেও চিহ্নিত করেছেন। শনিবার সমাবর্তনে যোগ দেওয়ার
আগে তাঁকে চন্দ্রযান ২-এর ‘ব্যর্থতা’ নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। তাতেই পদ্মভূষণপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী বলেন, “ভারতের পক্ষে এবং বিজ্ঞানের পক্ষে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য দিন এটি। দেশের পক্ষেও একটি বড় সাফল্য। চাঁদের ভূপৃষ্ঠের ঠিক দু কিলোমিটার উপরে থাকলেও হতাশার কিছু নেই। ল্যান্ডার বিক্রম হয়তো ভূপৃষ্ঠে পৌঁছাতে পারবে না। কিন্তু অরবিটে এখনও ঘুরছে বলেই আমার মনে হচ্ছে। বিক্রম যন্ত্রপাতির সাহায্যে
চন্দ্রপৃষ্ঠের তলদেশের সম্পদের খোঁজ দিতেও সমর্থ হবে। সেখানকার জল, খনিজ কিংবা হিলিয়াম গ্যাস আছে কি না, তা বোঝা যাবে।” তিনি আরও বলেন, “যেহেতু এখনও ভূপৃষ্ঠে অবতরণ করতে পারেনি তাই চাঁদের গর্ভে থাকা সম্পদের চিত্র পুরোটা হয়তো বোঝা যাবে না, তবে ধারণা অবশ্যই হবে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: তৃণমূল বিরোধিতায় বাঙালিকে চোর-চিটিংবাজ বলে অপমান দিলীপের]


ইসরোর বিজ্ঞানীদের একাংশের দাবি, তাঁদের স্বপ্নের অভিযান ৯৫ শতাংশ সফল। আর তাঁদের সঙ্গে একমত বিজ্ঞানী বিকাশ সিনহাও। তাঁর কথায়, “চন্দ্রযানের সঙ্গে কমিউনিকেশন চ্যানেল এর মধ্যেই শুরু হবে বলে আশা করা যায়। আর তা শুরু হলেই চাঁদের মাটিতে পা রাখবে বিক্রম।” মিশন চন্দ্রযানে যুক্ত বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্সের প্রাক্তন ডিরেক্টর। বিজ্ঞানের
সাফল্য বা ব্যর্থতাকে এত সহজভাবে দেখলে হবে না বলেও নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন তিনি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement