Advertisement
Advertisement

ডাম্পারের ধাক্কা বাইকে, মৃত্যু একই পরিবারের চারজনের

পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার বিরু‌দ্ধে মঙ্গলকোট থানায় ক্ষোভও দেখায় উত্তেজিত জনতা৷

All four members of a family died in road accident
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 16, 2016 8:00 pm
  • Updated:September 16, 2016 8:04 pm  

নিজস্ব সংবাদদাতা, কাটোয়া: মঙ্গলকোটের নপাড়ায় বাদশাহি রোডে ডাম্পারের ধাক্কায় একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু হল৷ মৃতরা হলেন মঙ্গলকোটের ইসমাতারা বিবি (২৮), ইসমাতারার ছেলে আসলাম মোল্লা (৭), মেয়ে আতরুফি খাতুন (৭) ও ইসমাতারার ভাই সাইফুল শেখ (২২)৷  উত্তেজিত জনতা ডাম্পারটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়৷ বালিভর্তি লরির বেপরোয়া যাতায়াতের প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা পথ অবরোধ করেন৷ পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার বিরু‌দ্ধে মঙ্গলকোট থানায় ক্ষোভও দেখায় উত্তেজিত জনতা৷ এই দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকাল ন’টা থেকে চরম উত্তেজনা ছড়ায় মঙ্গলকোটের নপাড়া ও বক্সিনগরে৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে৷

স্থানীয়সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাইয়ের বাইকে ছেলে মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি বর্ধমানের নতুনগ্রাম থেকে থেকে শ্বশুরবাড়িতে ফেরার সময় শুক্রবার এই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন ইসমাতারা৷ এদিন সকাল ন’টা নাগাদ নপাড়া ও বক্সিনগরের মাঝে সাইফুলের বাইকে পেছন থেকে ধাক্কা মারে মঙ্গলকোট থেকে বর্ধমানগামী বালিভর্তি একটি ডাম্পার৷ বাইক থেকে পড়ে সেখানেই ডাম্পারের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যান সাইফুল৷ বাইক-সহ ইসমাতারা ও তাঁর দুই ছেলে-মেয়ে আটকে যান ডাম্পারের সামনের যন্ত্রাংশে৷

Advertisement

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ডাম্পারটি তখনও বেপরোয়া৷ সেই অবস্থাতেই বাইক-সহ ওই তিনজনকে ঘসটে নিয়ে যায় প্রায় চার কিলোমিটার৷ নোড়াপাড়াবাজারের কাছে স্থানীয় জনতা ডাম্পারটিকে আটকায়৷ তার তলা থেকে উদ্ধার করে ইসমাতারা, আসলাম ও আতরুফির থেঁতলানো দেহ৷ ঘাতক ডাম্পারের খালাসি পালিয়ে গেলেও ধরা পড়ে যায় চালক৷ তাকে একটি ঘরে আটকে রেখে উত্তেজিত জনতা ডাম্পারটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়৷ দেহ আটকে রেখে বাদশাহি রোড অবরোধও করেন স্থানীয়রা৷ দেহ উদ্ধার করতে এলে  মঙ্গলকোট থানার পুলিশ বিক্ষোভের মুখে পড়ে৷ স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, ওভারলোড নিয়ে পুলিশের চোখে ধুলো দিতে বালি ডাম্পারগুলি বেপরোয়া ভাবে চলে৷ ফলে বারবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন সাধারণ মানুষ৷ বারবার এই অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও পুলিশ প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না৷ নোয়াপাড়া-বক্সিনগর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়৷ উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে পুলিশ দেহগুলি উদ্ধার করে৷ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য৷ কিন্তু ঠিক ভাবে শনাক্ত করার আগে কেন দেহগুলি তড়িঘড়ি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হল, সেই প্রশ্ন তুলে মঙ্গলকোট থানায় ফের বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয়রা৷ তাদের অভিযোগ, বেআইনিভাবে এই ওভারলোডেড ডাম্পারগুলির এই অনিয়ন্ত্রিত চলাচলে পুলিশের একাংশের মদত রয়েছে৷ যদিও তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির আশ্বাস দিয়েছে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement