ছবি: প্রতীকী
রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: চিতায় তোলার আগেই শ্মশানে নড়ে উঠল দেহ। শনিবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারে। এদিকে দেহ নড়ে ওঠার ঘটনা টের পেতেই বৃদ্ধাকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পরিজনরা। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে কর্তব্যরত চিকিৎসককে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। তবে বৃদ্ধার দেহ পরীক্ষা করে ফের মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসকরা। তারপর ফের সৎকারের জন্য বৃদ্ধার দেহ শোভাগঞ্জ শ্মশানে নিয়ে যান পরিবারের লোকজন।
অভিযোগ, মৃতের পরিবারের সদস্যদের হামলার ঘটনায় তীব্র বিরোধিতা করেছেন আলিপুরদুয়ার জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ সুবর্ণ গোস্বামী। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসক উত্তম কানরির উপরে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। চোখের ভুলে বা অন্য কোনও কারণে মৃতদেহ নড়াচড়া করতে পারে। কিন্তু পরে সিটি স্ক্যান করে দেখা গিয়েছে অনেক আগেই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। সাধারণ মানুষ চিকিৎসকদের থেকে বেশি বুঝলে আমাদের পরিষেবা দেওয়া খুব কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে। আমরা হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছি। দোষীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।’
জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সারদাপল্লির বাসিন্দা শ্যামলী গোস্বামী। এদিন সকাল আটটা নাগাদ তিনি আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিজনরা তাঁকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সঙ্গেসঙ্গেই বৃদ্ধাকে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিতায় তোলার পর দেখা যায় দেহ নড়ছে। তড়িঘড়ি বৃদ্ধাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পরিজনরা। চিকিৎসককে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তবে দ্বিতীয়বার পরীক্ষার পর ফের মৃত্যু নিশ্চিত হলে পরিজনরা আর কথা বাড়াতে চাননি। এদিকে তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গোটা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.