হলং নদী পার হয়ে স্কুলে যাচ্ছে পড়ুয়ারা।
রাজকুমার কর্মকার, আলিপুরদুয়ার: চলতি বছরে বন্যায় ভেসে গিয়েছে বাঁশের সাঁকো। এখনও নদীর উপর কোনও অস্থায়ী সেতু গড়ে ওঠেনি। অগত্যা নদীর জল ভেঙেই প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয় এলাকার মানুষদের। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা বইয়ের ব্যাগ মাথায় নিয়ে নদী পার হয়ে স্কুলে যাচ্ছে। ঘটনাটি আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা ব্লকের ময়রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের ময়মনসিং পাড়ার। নদীর উপর সেতু নির্মাণের দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু প্রশাসনের তরফে কোনও উদ্যোগ নেই বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
[নিম্নচাপ সরলেও পিছু ছাড়বে না বৃষ্টি, জল জমে বিপর্যস্ত যান চলাচল]
স্থানীয় বাসিন্দা হরমোহন বিশ্বাস বলেন, “এই সমস্যা দীর্ঘ ৪০ বছরের। বেশি বৃষ্টি হলেই জল বাড়ে হলং নদীতে। ভেসে যায় বাঁশের সাঁকো। ওই অবস্থায় নদী পেরিয়েই আমাদের যাতায়াত করতে হয়। না হলে পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যেতে হয়।” বাসিন্দা অনিতা সরকারের অভিযোগ, “চারদিকে এত উন্নয়ন হচ্ছে। আর আমাদের এখানে এখনও স্থায়ী সেতু হল না। ব্লক সদরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হলে আমাদের পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে যায়ায়াত করতে হয়। বেশি সমস্যায় পড়ে ছাত্রছাত্রীরা। বই-খাতা ভিজিয়ে তাদের স্কুলে যেতে হয়।” এ বিষয় ফালাকাটার বিডিও স্মিতা সুব্বা বলেন, “এই ধরনের সমস্যা যেসব এলাকায় হচ্ছে, গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে সেই সমস্যার মোকাবিলা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে সেখানে যদি বিষয়টির সমাধান না হয়, তাহলে ব্লক প্রশাসনের তরফে ১০০ দিনের প্রকল্পে এই সমস্যার সমাধান করা হবে।”
জানা গিয়েছে, স্থানীয় ছেলেমেয়েরা কামিনীবালা শিশু শিক্ষা কেন্দ্র এবং ফালাকাটার গাপ্পু মেমোরিয়াল হাইস্কুলে পড়াশোনা করে। সেখানে যেতে দুই স্কুলের ছাত্রছাত্রীকেই নদী ডিঙিয়ে যেতে হয়। আর নদীতে জল খুব বেড়ে গেলে পড়ুয়াদের আর স্কুল যাওয়া হয় না। কামিনীবালা শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের প্রধান সহায়িকা রঞ্জনা সরকার বলেন, “বাচ্চারা এত কষ্ট করে স্কুলে আসে দেখলে চোখে জল আসে। দীর্ঘদিন ধরে এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানানো হচ্ছে। জানিনা কেন সেটা পূরণ হচ্ছেনা।” আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক নিখিল নির্মল বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
[ধূপগুড়িতে ছেলেধরা সন্দেহে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে গণপিটুনি, আক্রান্ত আরও ২]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.