খাঁচাবন্দি চিতাবাঘ। নিজস্ব চিত্র।
রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: বনদপ্তরের চোখে ধুলো দিয়ে পুরুলিয়ায় ঘুরে বেরাচ্ছে বাঘিনী ‘জিনাত’। হাজার চেষ্টা করেও প্রশাসনের পাতা ফাঁদে ধরা দিচ্ছে না সে। ছাগলের টোপও সন্তর্পণে এড়াচ্ছে। এবার সেই ছাগলের টানেই উত্তরের চা বাগানে খাঁচাবন্দি হল চিতাবাঘ। বৃহস্পতিবার সকালে বনদপ্তরের খাঁচায় ধরা পড়ল সে।
কয়েকদিন ধরে মথুরা চা বাগানে চিতাবাঘের উৎপাত শুরু হয়। এলাকার বেশ কয়েকটি বাছুর, ছাগল, বিড়াল, কুকুর সাবার করছিল সে। এলাকায় আতঙ্ক বেড়েছিল। রীতিমতো থরহরিকম্প ছিল এলাকাবাসী। অবশেষে তাকে ধরতে ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচা পাতে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ। আর সেই ছাগলের টোপেই কেল্লাফতে! বনদপ্তরের খাঁচায় আজ সকালে ধরা দেয় চিতাবাঘটি। অবশেষ বছর শেষে আতঙ্কমুক্ত ডুয়ার্সের চা বাগান। এই খবর শোনার পরই পুরুলিয়াবাসীর একটাই প্রশ্ন, কবে ছাগলের টোপে বাগে আসবে বাঘিনী জিনাত?
খাঁচা বন্দি চিতাবাঘটিকে বনাঞ্চলে ছেড়ে দিয়েছে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ। এ প্রসঙ্গে মথুরা চাবাগানের ওয়েলফেয়ার অফিসার কৌশিক বর্মন জানান,”আজ সকালে আলিপুরদুয়ার জেলার মথুরা টি গার্ডেনে একটি চিতাবাঘ ধরা পড়েছে। প্রাণীটি একটি ৪ বছরের মেয়ে চিতা, যা সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং তার শরীরে কোনও বাহ্যিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পশুচিকিৎসক আধিকারিকের দ্বারা সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যপরীক্ষা করার পর, চিতাটিকে গভীর জঙ্গলে তার স্বাভাবিক আবাসস্থলে নিরাপদে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, শীত শুরু হতেই ডুয়ার্সের চা বাগানে চিতাবাঘের আনাগোনা শুরু হয়। নভেম্বর মাসে একাধিক চিতাবাঘ ধরাও পড়েছে। ডিসেম্বর মাসেও সেই ঘটনা দেখা যাচ্ছে। চা বাগানের বাসিন্দাদের এই বিষয়ে সতর্ক করছে বনদপ্তর। তবে বাঘ বন্দিতে কিছুটা হলেও আশ্বস্ত এলাকাবাসী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.