রাজকুমার কর্মকার,আলিপুরদুয়ার: বারাসত, নৈহাটির কালীপুজোর পরিচিতি গোটা রাজ্যে। থিমের চমক, পাশাপাশি প্রতিমার উচ্চতাও এই দুই জনপদের অন্যতম সেরা আকর্ষণ। উত্তরবঙ্গেও এবার অভিনব মণ্ডপ ও প্রতিমা তৈরির অঘোষিত লড়াই। আলিপুরদুয়ার শহরে এবার বেশ কিছু পুজো দর্শক টানতে থিমের পুজোর আয়োজন করেছে।
[দেবী পালাতে পারেন, এই আশঙ্কায় ভক্তদের ‘নজরবন্দি’তে মা কালী]
আলিপুরদুয়ার জংশন টিকিট চেকিং স্টাফ অর্গানাইজেশনের এবার কালীপুজার মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে কর্নাটকের বিধানসভার আদলে। ৫৫ ফুট উঁচু এই প্যান্ডেল ঘিরে ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ার শহরে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। গত ৫৫ বছর থেকে আলিপুরদুয়ার জংশনের রেল হাসপাতাল লাগোয়া রেলের মাঠে কালী পুজো হচ্ছে।
[পাহাড়ের চেয়ে ‘উঁচু’ প্রতিমা, ঝাড়গ্রামের আকর্ষণ ৬০ ফুটের কালী]
এই সংস্থার সদস্যরা ভারতীয় রেলের উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের কর্মী হলেও, এই কালী পুজা অনেকদিন আগেই বারোয়ারি রূপ নিয়েছে। আলিপুরদুয়ার জংশনের বড় কালী পুজাগুলোর মধ্যে অন্যতম এটি। সংগঠনের সম্পাদক শুভংকর দে বলেন, “এবার মণ্ডপের সঙ্গে মানানসই কালী মায়ের মূর্তি তৈরি করছেন আলিপুরদুয়ার মৃৎশিল্পী গোপাল পাল। ভগবান বিষ্ণুর আর এক রূপ মুরগন ঠাকুর। তাঁর আদলেই তৈরি হচ্ছে কালী মায়ের মূর্তি। মণ্ডপ সজ্জার দায়িত্ব নিয়েছেন কোচবিহারের শিল্পী গোপাল পাল।” এই পুজার অন্যতম বৈশিষ্ট্য এখানে বাইরে থেকে কোনও চাঁদা তোলা হয় না। সংগঠনের সভাপতি অমর কান্তি সেন বলেন, “ ক্লাবের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৪৫০ জন। তাদের চাঁদাতেই পুজোর যাবতীয় খরচ হয়। আমাদের সংগঠন সারা বছর বিভিন্ন রকম সমাজসেবামূলক কাজ করে। এবার কালী পুজার সময় ১০০ গরিব ছাত্র ছাত্রীকে পাঠ্য পুস্তক-সহ নানান শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হবে। ১৯ অক্টোবর পুজার উদ্বোধন।” হোগলা পাতা ,বাশ, কাঠ, প্লাইউড, কাচ সহ নানান সামগ্রি দিয়ে কর্নাটকের বিধানসভা ছোট্ট মাঠে ফুটিয়ে তুলছেন প্যান্ডেল শিল্পীরা। মণ্ডপে নানান সমাজ সেবামূলক পোস্টার, ব্যানার, প্ল্যাকার্ড সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.