প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে দ্রুত ছড়াচ্ছে জেহাদের বিষ। পাকিস্তানের অন্ধকার জগৎ থেকে কলকাঠি নেড়ে ভারতকে রক্তাক্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে। এবার জানা গিয়েছে, পুলওয়ামায় নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলার কথ আগেভাগেই জানত মুর্শিদাবাদে থেকে ধৃত আল কায়দা জঙ্গিরা। আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল আহমেদ দারের সঙ্গে হামলার এক সপ্তাহ আগেও কথা হয়েছিল মুর্শিদ হাসান ও কম্পিউটার সায়েন্স পড়ুয়া নাজমুস শাকিবের।
সূত্রের খবর, কেরল ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে ধৃত জঙ্গিদের স্মার্টফোন ও ল্যাপটপ খতিয়ে দেখে বেশ কিছু হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপের হদিশ পেয়েছেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (NIA) গোয়েন্দারা। আর সেখানেই একটি গ্রুপে চলা আলোচনা দেখে রীতিমতো হতচকিত হয়ে পড়ছেন গোয়েন্দারা। সেখানে রয়েছে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি আদিল দার। তার সঙ্গে মুর্শিদের কথোপকথন হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। ‘বাহিনীর উপর হামলা হবে’, পুলওয়ামা হামলার এক সপ্তাহ আগে এই ‘নিশ্চিত খবর’ ছিল গ্রুপে। আর হামলার পর? সেখানেই মুর্শিদরা লিখেছিল পাকিস্তানের স্তুতিবাক্য। ইসলামিক স্টেট, আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট (একিউআইএস), জইশ-ই-মহম্মদ ভারত বিরোধী কুখ্যাত সব জঙ্গি গোষ্ঠীর ‘প্রতিনিধি’দের নিয়ে গড়ে উঠেছে একের পর এক এমন গ্রুপ। যাদের লক্ষ্য ভারতে সন্ত্রাস ছড়ানো।
এদিকে, জঙ্গিদের গ্রেপ্তারিতে ফের খাগড়াগড়ের মতো নিরাপত্তা সংস্থাগুলির নজরে এসেছে সীমান্তের মাদ্রাসাগুলি। অভিযোগ, ওই প্রতিষ্ঠানগুলি থেকেই জঙ্গি কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত হয়। উল্লেখ্য, বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার সকালে কেরলের এর্নাকুলাম ও পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার ১১টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালান এনআইএ’র তদন্তকারীরা। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৬ জন ও কেরল থেকে তিনজন আল কায়দা জঙ্গি গ্রেপ্তার হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, নয়াদিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অতর্কিতে ‘লোন উলফ্’ হামলা চালানোর ছক কষছিল জঙ্গিরা। কিন্তু, তার আগেই তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। ধৃতদের গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে বোমা তৈরির উপাদান, দেশীয় পিস্তল, ধারালো অস্ত্র, ডিজিটাল ডিভাইস, জেহাদি কাগজপত্র-সহ অনেক জিনিস উদ্ধার হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.