Advertisement
Advertisement

আকাঙ্ক্ষার নগ্ন ছবিতে ভর্তি ‘সাইকো’ উদয়নের ল্যাপটপ

আমার ফাঁসির ব্যবস্থা করুন, আর্জি উদয়নের৷

Akansha’s obscene pictures found in Udayan’s laptop
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 10, 2017 8:21 am
  • Updated:February 10, 2017 11:49 am  

সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: “আমাকে ফাঁসি দিন৷ আমার সব ফাঁস হয়ে গিয়েছে৷ বাঁকুড়াতেই ফাঁসি দিন৷ এখানে আমার আকাঙক্ষার বাড়ি৷ এখান থেকে ফিরতে চাই না৷ কী লিখতে হবে বলুন৷ লিখে দিচ্ছি৷” –তদন্তকারী অফিসারদের দফায় দফায় জেরায় কান্নায় ভেঙে পড়ল ‘সাইকো কিলার’ উদয়ন দাস৷ আবেদন জানাল ফাঁসির৷

আকাঙক্ষা-উদয়ন ‘কেলেঙ্কারিতে’ নিত্যদিন উঠে আসছে নতুন তথ্য৷ উদয়নকে জেরা করে তাদের জীবনশৈলীর একাধিক তথ্য পাচ্ছে তদন্তকারীরা৷ পুলিশের অনুমান, আকাঙক্ষা যেমন উদয়নকে ধরে আমেরিকা যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল, তেমনই বহুদিন আগে তাকে ‘কালো’ বলার প্রতিশোধ নিতে আকাঙক্ষাকে খুন করার ছক কষছিল উদয়ন৷

Advertisement

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, উদয়নের সঙ্গে যেমন একাধিক মহিলার সম্পর্ক ছিল, তেমনই বহু পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ছিল আকাঙক্ষারও৷ ‘প্রেমে ক্লান্ত’ আকাঙক্ষা চেয়েছিল একা থাকতে৷ আর তা ঘিরেই বিতর্ক-রহস্য, চরম পরিণতি খুন৷ তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ২৭ জুন, ২০১৬ বিয়ে হয়েছিল আকাঙক্ষা-উদয়নের৷ তেমনই দাবি করেছে উদয়ন৷ তদন্তকারীদের কাছে তার দাবি তথ্য বলছে, ১৫ জুলাই সকালবেলা৷ তখনও ঘুম ভাঙেনি দু’জনের৷ আকাঙক্ষার মোবাইল বেজে উঠল৷ সেই ছেলেটির ফোন৷ ফোনে কথা বলার পরই আকাঙক্ষার সঙ্গে তুমুল ঝগড়া শুরু হয় উদয়নের৷ আকাঙক্ষা দাবি করে, তাকে একা থাকতে দেওয়ার জন্য৷ এরপরই রাগের বশে তাকে খুন করে উদয়ন৷ অভিযুক্ত খুনির ল্যাপটপ ঘেঁটে এ বিষয়ে আরও একাধিক বিতর্কিত-চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে তদন্তকারীরা৷ দেখা গিয়েছে, ল্যাপটপে আকাঙক্ষার বহু নগ্ন ছবি৷ স্নানের ছবি, পোশাক বদলানোর, কাপড় পড়ার ছবি, রয়েছে মুভিও৷ একান্ত ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি৷ তদন্তকারীরা খুঁটিয়ে দেখছেন, এই ছবিগুলি উদয়ন অন্য কোথাও বিক্রি করেছে, না শুধুই ল্যাপটপে সংগ্রহ করেছিল৷ পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৪ সালে আকাঙক্ষার পাটনায় এক আত্মীয়র বাড়িতে প্রথম দেখা হয় উদয়নের সঙ্গে৷ আত্মীয়র বিয়ের অনুষ্ঠানে আকাঙক্ষাই আমন্ত্রণ জানিয়েছিল উদয়নকে৷ সেখানেই উদয়ন এবং আকাঙক্ষার মধ্যে প্রথম যৌন সম্পর্ক৷ ২০০৭ সাল থেকে প্রথমে অরকুট, তারপর ফেসবুকে তাদের মধ্যে আলাপ৷ চলছিল প্রেমপর্ব৷ কিন্তু ২০১৪ সালের আগে পর্যন্ত সামনা সামনি কেউ কাউকে দেখেনি৷

(জয়শ্রীর সঙ্গে সম্পর্কের কথা জেনে ফেলাতেই খুন হন আকাঙক্ষা)

উদয়নকে জেরা করে পুলিশের অনুমান, আকাঙক্ষা উদয়নের অনেক গোপন কথা জেনে গিয়েছিল৷ বাবা-মাকে খুন করে উদয়ন যে টাকা হাতিয়েছিল, সে কথাটিও জেনে যায় বাঁকুড়ার তরুণী৷ পুলিশের জেরায় উদয়ন স্বীকার করেছে, তার সঙ্গে আকাঙক্ষার পাটনা, দিল্লি, এমনকী বাঁকুড়াতেও একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে সে৷ শেষে ভোপালে তারা একই সঙ্গে থাকত৷ ২০১৬ সালের ২৭ জুন তাদের বিয়ে হয়৷ যদিও এই বিয়ের বিষয়ে পুলিশ এখনও নিশ্চিত হতে পারছে না৷ আবার জেরায় উদয়ন ১৫ জুলাই সকালে আকাঙক্ষাকে খুনের কথা বললেও, বিষয়টি নিয়েও নিশ্চিত হতে পারছে না পুলিশ৷ কারণ তদন্তকারীদের অনুমান, যেভাবে বাবা-মাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে নিস্তেজ করে খুন করেছিল উদয়ন, সেই একই কায়দায় আকাঙক্ষাকেও সে খুন করে৷ পুলিশ জেনেছে, খুনের পরিকল্পনা ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই৷ সেইমতো ভোপালের সাকেতনগরের এক ওষুধের দোকান থেকে বেশি টাকায় ঘুমের ওষুধ কিনেছিল উদয়ন৷ ঘুমের ওষুধ খাইয়ে আকাঙক্ষাকে নিস্তেজ করার পর তার গলা টিপে খুন করে সে৷ সেই সময় মদ্যপ ছিল উদয়ন৷ আকাঙক্ষা ঘুমের ওষুধ খেয়ে নিস্তেজ হয়ে পড়ায় বিন্দুমাত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানাচ্ছে৷ তদন্তকারীরা উদয়নের ল্যাপটপ এবং ফেসবুক ঘেঁটে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করছেন৷ তাঁদের অনুমান, আকাঙক্ষা খুনে আরও অনেক তথ্য লুকিয়ে রয়েছে উদয়নের ল্যাপটপেই৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement