সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেএনইউ কাণ্ডে আক্রান্ত ঐশী ঘোষকে নিয়ে গত কয়েকদিন প্রচুর ভুয়ো তথ্য ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছাত্র সংসদের সভানেত্রী দুর্গাপুরের ঐশী ঘোষ নাকি আক্রান্ত হওয়ার নাটক করছেন। তাঁর ভুয়ো ছবি ফেসবুক, টুইটারে ভাইরাল করার অভিযোগও উঠেছে। এমনকি তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে ছড়িয়েছে হাজারো মিম, ভুয়ো তথ্য। ছাত্রী হিসাবে কেমন এসএফআই নেত্রী ঐশী? এবার মুখ খুললেন তাঁর মা শর্মিষ্ঠা ঘোষ। জানালেন, শৈশবের লাজুক ঐশীর মেধা সম্পর্কে জানলে গর্ব হবে। স্কুল জীবন থেকেই ছবি আঁকতে ভালবাসত মেয়ে। তার জন্য স্কুল-কলেজে প্রচুর পুরস্কারও পেয়েছেন ঐশী।
৫ জানুয়ারি জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগুত দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে আহত হন ঐশী ঘোষ-সহ বহু ছাত্র-ছাত্রী। তারপর থেকেই গেরুয়া শিবিরের নিশানায় বছর চব্বিশের তরুণী। এবিভিপি এবং বিজেপি নেতারা তাঁকে নিয়ে কদর্য মিমে ভরিয়ে দিয়েছে সোশ্যাল সাইটগুলি। তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর, স্মৃতি ইরানিরা। অনেকেই তাঁর মেধা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু সেই সব ধারণায় জল ঢেলে দিয়েছেন তাঁর মা। তিনি জানিয়েছেন, বরাবরই মেধাবী ছাত্রী ছিলেন তাঁর মেয়ে। মাধ্যমিকে ৯০ শতাংশ নম্বর এবং উচ্চমাধ্যমিকে ৯৩ শতাংশ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ঐশী। তারপর উচ্চশিক্ষার জন্য দিল্লিতে পাড়ি। সেখানে দৌলত রাম কলেজ থেকে ফার্স্ট ক্লাস স্নাতকের ডিগ্রি নিয়ে জেএনইউতে ভরতি হন ঐশী। সেখানেও মেধার পরিচয় দিয়েছেন ঐশী। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক শিক্ষায় ফার্স্ট ক্লাস মাস্টার্স করার পর এখন ইন্টিগ্রেটেড এম ফিল-পিএইচডি করছেন তিনি।
তবুও বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ, হোয়াটসঅ্যাপে ইচ্ছাকৃতভাবে ছড়ানো হচ্ছে, পড়াশোনায় মোটেই ভাল নয় ঐশী। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন তাঁর মা শর্মিষ্ঠা। তিনি জানিয়েছেন, যাঁদের ঐশীর মেধা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে তাঁদের মেয়ের মার্কশিট দেখাতে রাজি আছেন তিনি। জানিয়েছেন, শৈশব থেকেই রাজনৈতিক পরিবেশেই বেড়ে উঠেছে ঐশী। বাবা দেবাশিস ঘোষ সরকারি কর্মচারীর পাশাপাশি আরএসপির সক্রিয় সদস্যও। তাই বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী পরিবারে বেড়ে ওঠা ঐশীও জেএনইউতে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। দৈলত রাম কলেজে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ে যোগ দেন ঐশী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.