সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময় যত যাচ্ছে, ততই বাড়ছে করোনা আতঙ্ক। এবার কলকাতা বন্দরে আসা জাহাজের নাবিকদের থার্মাল স্ক্যানারে পরীক্ষার পর দেখা দু’জনকে ভরতি করা হল বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। তাঁদের শরীরের তাপমাত্রা বেশি ছিল বলে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে এই সিদ্ধান্ত। এই নিয়ে বেলেঘাটা আইডি-তে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হল। যার জেরে আতঙ্কও বাড়ছে।
এদিকে, চিন থেকে ফেরা এক বিমানসেবিকার শরীরেও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কেরলের তিন ব্যক্তির দেহে করোনা ভাইরাস মিলেছে। তাঁরা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভরতি। ওই বাসিন্দাদের সঙ্গেই চিন থেকে ফিরেছেন এক বিমানসেবিকা। তাঁর সঙ্গে ওই বিমানে কলকাতায় ফিরেছিলেন সাতজন। এই বিমানসেবিকার বাড়ি দার্জিলিংয়ে। তিনি কলকাতায় নেমে বাড়ি ফিরে যান। তারপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষার পর চিকিৎসকদের সন্দেহ, ওই যুবতীর দেহে করোনা ভাইরাস বাসা বেঁধেছে। তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদি পরীক্ষায় নিশ্চিত হয়, তাহলে এই বিমানসেবিকা হবেন দেশের চতুর্থ করোনা ভাইরাস আক্রান্ত।
এই অবস্থায় কার্যত ঘুম ছুটেছে কেন্দ্রের। কারণ, চিন থেকে যাঁরা ফিরছেন তাঁদের সবার স্বাস্থ্যপরীক্ষা তো করানো যায়। কিন্তু প্রত্যেককে খুঁজে বের করাটাই যে চ্যালেঞ্জ। সকলে আবার হাসপাতালে যেতে চাইছেন না। এই ঢিলেমিতেই বিপদ বাড়তে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। কেরল তো বটেই মহারাষ্ট্র, উত্তরাখণ্ডের মতো রাজ্যও জেরবার এই পরিস্থিতিতে। কলকাতায় যে তিনজনকে ভরতি করানো হয়েছিল বেলেঘাটা আইডিতে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে সামনে এসেছে উত্তরবঙ্গের বিমানসেবিকার বিষয়টি। যা নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর মোটেও বিষয়টিকে হালকাভাবে নিতে রাজি নয়। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, চিন থেকে ফিরছেন, এমন যাত্রীদের পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। তবে সচেতনতার অভাব রয়েছে বলেও মানছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। কারণ, কাউকে হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য ভরতি হতে বললে, তিনি সহজে রাজি হচ্ছেন না। অনেকে নামমাত্র পরীক্ষা করিয়ে চলে যেতে চাইছেন। অবশ্য নিজে থেকে হাসপাতালে এসে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করাচ্ছেন কেউ কেউ।
কলকাতা বিমানবন্দরে এতদিন থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা থাকলেও, চিন থেকে ফেরা যাত্রীদের জন্য ছিল না আলাদা এরোব্রিজ। এবার আরও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে এরোব্রিজ পৃথক করা হল চিন, সিঙ্গাপুর এবং হংকং ফেরত যাত্রীদের জন্য। ইতিমধ্যে হংকংয়ের এক বাসিন্দা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মুখে পড়েছেন বলে খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.