Advertisement
Advertisement

জীবিকা খোয়ানো ৭০০ ধীবর পরিবারের পাশে দাঁড়াল জেলা মৎস্য দপ্তর

রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের চারা ছাড়ার উদ্যোগ৷

Aid to Durgapur fishermen

রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের চারা ছাড়ার উদ্যোগ৷

Published by: Kumaresh Halder
  • Posted:November 14, 2018 5:05 pm
  • Updated:November 14, 2018 5:05 pm

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে জীবন-জীবিকার শেষ আশ্রয়৷ ফলে, বাধ্য হয়েই পেটের টানে জীবনের ঝুঁকি নিতে হত দামোদরের ব্যারেজ লাগোয়া মৎস্যজীবীদের৷ ব্যারেজের কাছাকাছি মাছ শিকার করতে গিয়েও দুর্ঘটনার মুখোমুখিও পড়তে হত তাঁদের৷ আর এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে জীবিকা হারানোর মৎস্যজীবীদের পাশে দাঁড়াল দুর্গাপুর প্রশাসন৷   

[কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল অসীম দাম খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত ৭]

বছর খানেক আগেই দামোদরের ব্যারেজের লক গেট ভেঙে গিয়ে জীবিকা সংশয়ের মুখে পড়েন দামোদর ও ব্যারেজ লাগোয়া মৎস্যজীবীরা৷ চূড়ান্ত অর্থকষ্টে পড়েন দুর্গাপুরের আশিষনগরের প্রায় ৭০০ মৎস্যজীবী পরিবার৷ দফায় দফায় মহকুমা শাসক ও প্রশাসনের কাছে দামোদরে ফের মাছ ছাড়ার দাবি জানায় মৎসজীবীরা৷ দুর্গাপুরের মেয়রও জেলা মৎস্য দপ্তরের কাছে একই আবেদন করেন৷ সেই আবেদনে সাড়া দিয়েই বুধবার ব্যারেজ সংলগ্ন রিজার্ভারে মাছ ছাড়ার সিদ্ধান্ত জেলা মৎস্য দপ্তরের৷

Advertisement

[হায় কপাল! বিধায়কের মায়ের শ্রাদ্ধের কার্ডও জাল]

জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর নগর নিগম এলাকার চারটি ও অণ্ডালের একটি ঘাটে আগামী সাত দিন ধরে মাছ ছাড়া হবে৷ প্রথম পর্যায়ে তিন থেকে চার ইঞ্চি সাইজের মোট ১৫৭.৪৮ ইউনিট রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের চারা ছাড়া হবে বলে জানা গিয়েছে৷ এক একটি ইউনিটে চার হাজার মাছের পোনা থাকে৷ এদিন আশিষনগরের বারোয়ারি ঘাটে মোট ৫০ ইউনিট মাছ ছাড়া হয়৷

[রথযাত্রা হবেই, নিরাপত্তার দায়িত্ব রাজ্যের ঘাড়ে চাপালেন মুকুল]

জেলা মৎস্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার থেকে পর্যায়ক্রমে হুচুকডাঙা ঘাটে ১৬ লক্ষ মাছের চারা ছাড়া হবে৷ বেলতলা ঘাটে ১ লক্ষ ৯ হাজার এবং অণ্ডালের মদনপুর শ্মশান ঘাটে মোট ১৬ লক্ষ মাছের পোনা ছাড়া হবে৷ ‘নদীর মৎস্য সঞ্চারণ’ প্রকল্পের মাধ্যমে দামোদর নদে এই মাছ ছাড়া হবে বলে পশ্চিম বর্ধমান জেলা মৎস্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে৷ নদীর মাছের ঘাটতি মেটাতেই এই মাছ ছাড়া হল বলে জানান জেলা মৎস্য দপ্তরের সহ-অধিকর্তা অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়৷ এদিনের অনুষ্ঠানে জেলার মৎস্য দপ্তরের সহ-অধিকর্তা অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,“এই মাছ এখনই ধরা যাবে না৷ চার থেকে পাঁচ মাস পড়ে এই মাছের ওজন ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম হলেই তা ধরা লাভজনক৷” তাই ছোট মুখের জাল ফেলে দামোদর ব্যারেজ সংলগ্ন জলাধারে মাছ ধরার উপর বিধিনিষেধ জারি হয়েছে৷ তবে, আগামী চার-পাঁচ মাস সমস্যার হলেও মাছ বৃদ্ধির পর দু’বেলা দু’মুঠো অন্নসংস্থান হবে মৎস্যজীবীদের৷ আশা জেলা প্রশাসনের৷

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement