Advertisement
Advertisement
Lok Sabha Election

স্বাধীনতার সাত দশক পার, ভোটের মুখে রাস্তা কুলতলির ময়রাচকে

স্বাধীনতার পর প্রথম তৈরি হচ্ছে রাস্তা।

Ahead of Lok Sabha election roads built in Mayarchuk after independence

চলছে রাস্তা তৈরির কাজ।

Published by: Subhankar Patra
  • Posted:March 21, 2024 7:26 pm
  • Updated:March 21, 2024 7:26 pm  

বিশ্বজিৎ নস্কর, কুলতলি: স্বাধীনতার পর কেটে গিয়েছে ৭৬টা বছর। এতদিন ছিল না কোনও রাস্তা! গরমের সময়ে এলাকার বাসিন্দাদের যাতায়াতের ভরসা ছিল জমির আলপথ। বর্ষাকালে কার্যত গৃহবন্দি হয়েই থাকতে হত বাসিন্দাদের। প্রয়োজনের সময় একমাত্র ভরসা ডিঙ্গি নৌকা। এবার লোকসভা ভোটের মুখে রাস্তা পেতে চলেছেন কুলতলি বিধানসভার ময়রাচক দ্বীপের বাসিন্দারা।

দক্ষিণ ২৪ পরগণার (South 24 parganas) কুলতলি বিধানসভার ( Kultali Assembly constituency) প্রত্যন্ত অঞ্চল ময়রাচক (Mayrachak)  দ্বীপ। এই এলাকায় বাস প্রায় ১৩৫টি পরিবারের। এই দ্বীপে যাতায়াতের জন্য কোনও রাস্তাই নেই! এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি স্থায়ী রাস্তার।  ভোটের সময় বিভিন্ন দলের নেতারা প্রতিশ্রুতি দিলেও এতদিনেও রাস্তা হয়নি। অবশেষে লোকসভা ভোটের মুখে পথশ্রী রাস্তার প্রকল্পে রাস্তা পাচ্ছেন তাঁরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন : রাসায়নিক নয়, হাতে তৈরি পলাশের ভেষজ রঙেই দোলে রাঙা হবে পুরুলিয়া]

শুরু হয়েছে ১ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা ব্যয় করে আড়াই কিলোমিটার ঢালাই রাস্তার কাজ।  জেসিবি দিয়ে মাটি কাটার কাজ এগিয়েছে অনেকটা। এক মাসের মধ্যেই এই রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে জানাচ্ছেন এলাকার বিধায়ক গণেশচন্দ্র মণ্ডল (Ganesh Chandra Mondal)। তিনি বলেন, “কুলতলি বিধাসভার মেরিগঞ্জ, কুন্দখালি,গোপালগঞ্জ গ্রামের সংযোগস্থলে ময়রাচক দ্বীপ। এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্যুৎ জল, রাস্তা ছিল না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার গঠনের পরই এলাকায় বিদ্যুৎ ও জলের ব্যবস্থা করা হয়। এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে  রাস্তা হচ্ছে। এর ফলে এলাকাবাসীর অনেক উপকার হবে। আগামিদিনে এই দ্বীপ এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ আরও উন্নত করা যায় তার ব্যবস্থা করা হবে”।

[আরও পড়ুন : সাইকেল চালিয়ে বাজারে কীর্তি আজাদ, সবজি-মাছ কিনে সারলেন জনসংযোগও]

স্থানীয় বাসিন্দা হরিপদ সর্দ্দার বলেন, ” এই রাস্তার দাবি দীর্ঘদিনের। অবশেষে এখানে রাস্তা হচ্ছে। এই রাস্তা হওয়ায় আমাদের যে উপকার হয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না”। এক স্কুল ছাত্রী বলে, “বৃষ্টির সময় আমরা নদী পার করে কাদার মধ্যে দিয়ে স্কুলে যাই। অনেক কষ্ট হয়। এই রাস্তা তৈরি হওয়ার পর আমরা ভাল ভাবে স্কুলে যেতে পারব”।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement