Advertisement
Advertisement

Breaking News

বাজারে অঢেল পিঁয়াজ, উৎপাদন আরও বাড়ানোর উদ্যোগ রাজ্যের

খুচরো বাজারে এখন পিঁয়াজ বিকোচ্ছে গড়ে ১৪ থেকে ১৫ টাকা কিলো দরে।

Agriculture dept is planning to increase Onion production in the state
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 27, 2018 9:09 pm
  • Updated:July 20, 2019 1:35 pm  

ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য:  ঝাঁজ আছে। কিন্তু দাম নেই। বাজারে অঢেল পিঁয়াজ! পনেরো দিন আগেও কলকাতা-সহ রাজ্যের খুচরো বাজারে গড়ে ৩০ টাকা কিলো দরে পিঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। হেঁশেলের অন্যতম উপকরণ পিঁয়াজ কিনতে গিয়ে ক’দিন আগেও চোখে জল আসার অবস্থা হয়েছিল মধ্যবিত্ত বাঙালির। কিন্তু, হঠাৎ দাম নিম্মমুখী। পেঁয়াজের বাজারে ধস!

[‘মেরে মুখ ফাটিয়ে দেব’, দিলীপকে হুমকি রবীন্দ্রনাথের]

Advertisement

খুচরো বাজারে এখন পিঁয়াজ বিকোচ্ছে গড়ে ১৪ থেকে ১৫ টাকা কিলো দরে। শিয়ালদহের কোলে মার্কেট, বৈঠকখানা বাজারে ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত। চিন্তায় পড়েছেন হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদের পিঁয়াজ চাষিরাও। পাইকারি ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, আগামী কয়েকদিনে দাম আরও খানিকটা কমতে পারে। এদিকে আবার পিঁয়াজের দাম কমায় কিছুটা হলেও স্বস্তিতে মধ্যবিত্ত বাঙালি। হোটেল, রেস্তরাঁ মালিকদের মুখেও হাসি ফুটেছে। খুশি রাজ্যের কৃষি বিপণন দপ্তরও। দপ্তরের প্রধান সচিব রাজেশ সিনহা জানিয়েছেন,  ‘নাসিক থেকে বছরভরই পিঁয়াজ আমদানি করতে হয়। কিন্তু, এ বছর রাজ্যেই সাড়ে ৫ লক্ষ মেট্রিক টনের মতো পিঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। যা রেকর্ড।’  তাঁর ব্যাখ্যা, পিঁয়াজ সংরক্ষণ করা যায় না। বাধ্য হয়ে উৎপাদিত পিঁয়াজের পুরোটাই বিক্রি করতে দিতে বাধ্য হচ্ছেন চাষিরা। তাই পাইকারি ও খুচরো বাজারে দামও প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে।

[এনজেপি-হাওড়া শতাব্দী এক্সপ্রেসে আগুন, চলন্ত ট্রেনে ছড়াল আতঙ্ক]

পশ্চিমবঙ্গে বছরে গড়ে ১৫ লক্ষ মেট্রিক টন পিঁয়াজ প্রয়োজন হয়। সিংহভাগটাই আসে নাসিক থেকে। বাকিটা অন্ধ্রপ্রদেশ আর চেন্নাই থেকে রপ্তানি করা হয়। রাজ্য সরকার গঠিত টাস্ক ফোসের্র সদস্য কমল দে জানিয়েছেন, ‘কৃষি দপ্তরের উদ্যোগে হুগলি, বর্ধমান, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ ও পুরুলিয়া জেলায়  তিন বছর ধরে পিঁয়াজ চাষ হচ্ছে। চাহিদা থাকায় চাষীদের পিঁয়াজ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন চাষীরাও। কিন্তু, সংরক্ষণের সুযোগ না থাকায় উৎপাদিত ফসলের পুরোটাই বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। তাঁর দাবি, সংরক্ষণের পরিকাঠামো থাকলে অন্তত ডিসেম্বর পর্যন্ত পিঁয়াজের জন্য নাসিকের উপর নির্ভর করতে হত না। জানা গিয়েছে, নাসিকের মতো একই জমিতে দু’বার পেঁয়াজ চাষ ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার।

[৬০ বিঘে জমির উপর একান্নপীঠের আদলে ৫১টি মন্দির গড়ছে রাজ্য]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement