রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: শুভেন্দু অধিকারী বলছেন একরকম, উলটো সুর অগ্নিমিত্রা পাল, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের! সংখ্যালঘু ইস্যুত রাজ্য বিজেপিতে অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। বিরোধী দলনেতা সম্প্রতি প্রকাশ্যেই বলেছেন, ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটে বিজেপি রাজ্যের ক্ষমতায় এলে যে মুসলিম বিধায়করা জিতবেন, তৃণমূলের টিকিটে জিতে আসা সংখ্যালঘু বিধায়কদের চ্যাংদোলা করে বিধানসভার বাইরে ছুঁড়ে ফেলে দেবেন! এনিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এতে বাংলার সংখ্যালঘু মানুষ ক্ষুব্ধ হবেন, বুঝে সাবধানী দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পাল বলেছেন, ”সংখ্যালঘুরা আমাদের বিশ্বাস করছে না। রাগ-দুঃখ থেকে হয়তো আমাদের শীর্ষ নেতারা বলছেন, মুসলমান ভোট দরকার নেই। কিন্তু আমাদের সকলের ভোট দরকার। কোনও ধর্ম হিসেবে আলাদা করতে চাই না।’’ অগ্নিমিত্রার পাশাপাশি দলের আরেক সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়েরও বক্তব্য, ‘‘বিজেপি কোনও ভেদাভেদের রাজনীতি করে না।’’
রাজ্য বিজেপির দুই শীর্ষ নেতা একথা বললেও সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে লাগাতার তোপ দেগে চলেছেন শুভেন্দু। তাঁর ‘চ্যাংদোলা’ হুমকিতে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে বিজেপির সংখ্যালঘু নেতা-কর্মীদের মধ্যেও। যদিও এই ইস্যুতে কার্যতঃ শুভেন্দুর পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ শনিবার বলেছেন, ‘‘একশোবার বিভাজন করব। কেউ যদি মুসলিমদের নিয়ে রাজনীতি করে তাহলে হিন্দুদের নিয়ে রাজনীতি করার অধিকার বিজেপির আছে।’’ সবমিলিয়ে, মুসলিম ইস্যু নিয়ে রাজ্য বিজেপির মতানৈক্য প্রকট হয়ে উঠেছে।
এদিকে শনিবার আবার বেফাঁস কথা বলে ফেলেছেন দিলীপ ঘোষ। খড়গপুরে বিক্ষোভের প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূলের মহিলা নেত্রীদের উদ্দেশে ফের তিনি বলেছেন, ‘‘মহিলা কি পুরুষ…সে যদি রাস্তায় শুয়ে পড়ে সকলের সামনে নাটক করেন? মহিলা বলে বলছেন কেন? লিঙ্গ দেখে মহিলা? তৃণমূল মহিলাদের ব্যবহার করে নোংরা রাজনীতি করে।’’ দিলীপের এহেন কুরুচিকর মন্তব্য নিয়ে ফের বিতর্ক শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, ছাব্বিশের বিধানসভা ভোট সামনে রেখে সোশাল মিডিয়ায় প্রচার কৌশলে আরও কী নতুনত্ব আনা যায়, তা নিয়ে শনিবার বিজেপির সল্টলেক অফিসে রাজ্য নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য। মিডিয়া প্যানেলিস্টদের ভূমিকাই বা কী হবে, তা নিয়েও পার্টির গাইডলাইন ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.