জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: লোকসভা ভোটে বনগাঁ কেন্দ্র থেকে শান্তনু ঠাকুরকে বিজেপির প্রার্থী করবার দাবি তুলেছেন মতুয়া ভক্তরা। কিন্তু, তার ২৪ ঘণ্টা পেরোনোর আগেই সেই দাবির বিরোধিতা করে রবিবার সন্ধ্যায় ঠাকুর বাড়িতে বিক্ষোভ দেখালেন একদল মতুয়া। ঠাকুরবাড়ি প্রদক্ষিণ করে ব্যানার হাতে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এর আগে শনিবার দুপুরে ঠাকুরবাড়িতে জড়ো হয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেন একদল মতুয়া। ওই বৈঠকের পরে শান্তনুকে প্রার্থী করার দাবি তোলা হয়। এর আগে ভক্তরা যা চাইবেন তিনি তাই করবেন বলে জানিয়েছিলেন শান্তনু।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আগেই শান্তনুকে বলা হয়েছিল। কিন্তু শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছিলেন, তিনি ভোটে প্রার্থী হবেন না। পাশাপাশি, ঠাকুরবাড়ি থেকে মমতাবালা ঠাকুর ফের তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ায় তিনি তার বিরোধিতাও করেন৷ শনিবার দুপুরে শান্তনু ঠাকুরদের মতুয়া মহাসঙ্ঘের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন এই ভোটে দাঁড়ানোর বিষয়কে কেন্দ্র করে।
[আরও পড়ুন- শক্তি প্রদর্শনে সাহসী পদক্ষেপ বিজেপির, ব্রিগেডের দিন উত্তরবঙ্গেও সভা মোদির ]
এক পক্ষ শান্তনু ঠাকুরকে ভোটে দাঁড় করানোর পক্ষে, আরেকপক্ষ বিরোধিতায় সরব। পরে শান্তনুর সমর্থকদের তরফে জানানো হয়, তাঁরা এবার শান্তনু ঠাকুরকেই বিজেপির প্রার্থী হিসেবে দাবি করছে। মতুয়া মহাসঙ্ঘের পক্ষে অরবিন্দ বিশ্বাস বলেন, সমস্ত মতুয়াদের সঙ্গে কথা বলার পর আলোচনা করে আমরা শান্তনু ঠাকুরকে এবারের প্রার্থী করবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীও তাঁকেই প্রার্থী করা হবে জানিয়েছিলেন।”
কিন্তু, রবিবার সন্ধ্যায় এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে শান্তনু ঠাকুরের অনুগামী মতুয়া এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি চলতে থাকে। শান্তনু ঠাকুরের ভোটে দাঁড়ানোর বিরোধিতা করে এক যুবক জানান, “শান্তনু ঠাকুর ঠাকুরবাড়িতে রাজনীতির বিরোধিতা করেছেন। ঠাকুরবাড়িকে রাজনীতিমুক্ত করার কথা বলেছেন। আমরা তাই মতুয়া ভক্তরা শান্তনু ঠাকুরকে সমর্থন করেছিলাম৷”
এই বিক্ষোভের বিষয়ে শান্তনু ঠাকুর বলেন, “যারা বিক্ষোভ করছেন তাঁরা কেউ মতুয়া নন। কারোর স্বার্থে আঘাত লেগেছে কিংবা কেউ ভাবছে আমার জন্য টিকিট পাবে না। কেউ ভাবছে আমি দাঁড়ালে হেরে যেতে পারে। তারাই চক্রান্ত করে এই ঘটনা ঘটাচ্ছে ৷ তবে আমি এখনও কিছু ঘোষণা করিনি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.