সুবীর দাস, কল্যাণী: কলকাতা থেকে কল্যাণী। প্যারা টিচারদের আন্দোলনে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল কল্যাণী মেন স্টেশন। আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জে জখম হয়েছেন অনেকেই। এই খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে লাঠির ঘায়ে আহত হয়েছেন কয়েকজন চিত্রসাংবাদিকও।
বেতনবৃদ্ধির দাবিতে আংশিক সময়ের শিক্ষকদের আন্দোলন এবার আছড়ে পড়ল জেলাতেও। শনিবার সকালেই সল্টলেক থেকে বারাকপুর, নৈহাটিতে ঢুকে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁদের এই কর্মসূচির আগাম খবর থাকায় সজাগ ছিল পুলিশ প্রশাসন। তাই তাঁদের কোথাও অবস্থান বিক্ষোভ করতে দেখা হয়নি। এরপর বেলা ১১টা নাগাদ কল্যাণী মেন স্টেশনে পৌঁছে বিক্ষোভ শুরু করেন প্যারা টিচাররা। বিক্ষোভ ছড়ায় সেন্ট্রাল বাস টার্মিনাসেও। পুলিশ দিনভর বারবার তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন অবস্থান বিক্ষোভ করার অনুমতি নেই, তাই তা করা যাবে না। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করতে রাজি নন আন্দোলনকারীরা।
দিনভর এসব শেষে সন্ধের পর পুলিশ বাধ্য হয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেয়। বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠিচার্জ শুরু করে কল্যাণী থানার পুলিশ। পালটা বিক্ষোভকারীদের তরফেও ইট ছোঁড়া হয়। পুলিশের তরফে ব্যাপক লাঠিচার্জ করা হয়। আহত হন বিক্ষোভকারীদের অনেকেই। আন্দোলনের অধিকার নিয়ে প্যারাটিচারদের পক্ষে দাঁড়ান আরও অনেকেই। তাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলতে থাকে দুপক্ষের সংঘর্ষ। খবর করতে গিয়ে লাঠিচার্জের মাঝে পড়ে আঘাত পান সাংবাদিকরাও। সংবাদ প্রতিদিনের সাংবাদিক সুবীর দাস ধস্তাধস্তির মধ্যে পড়ে আহত হন।
শেষপর্যন্ত প্রায় আটটা নাগাদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের স্টেশন চত্বর থেকে হঠিয়ে দিতে সক্ষম হয়। এর আগেও সল্টলেকে প্যারাটিচারদের বিক্ষোভে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করতে হয়েছে। তবে এদিন কল্যাণীতে পুলিশের অত্যাচারে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.