পলাশ পাত্র, তেহট্ট: কাটমানি ইস্যুতে এবার উত্তপ্ত নদিয়ার কৃষ্ণনগর পুরসভা ও সংলগ্ন এলাকা। একাধিক আর্থিক দুর্নীতি ও কাটমানি ফেরতের দাবিতে মঙ্গলবার কৃষ্ণনগর পুরসভার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। আর সেই বিক্ষোভে শোনা গেল কাটমানি প্রসঙ্গে লেখা নচিকেতার গান। বিজেপির বিক্ষোভে নচিকেতার গান কেন? তা জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর থেকে কাটমানি নিয়ে উত্তাল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। এবার সেই তালিকায় নদিয়াও।মঙ্গলবার সকালে কাটমানি ফেরতের দাবিতে কৃষ্ণনগর পুরসভার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের অভিযোগ, পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান কর্মসংস্থানের জন্য রাজ্য সরকারের থেকে টাকা নিয়েছেন। কিন্তু যথাযথভাবে ব্যবহার করা হয়নি সেই টাকা। পুরসভার চব্বিশটি ওয়ার্ডে ‘হাউস ফর অল’ স্কিমে চার হাজার ঘর নির্মাণ হয়েছে। অভিযোগ, সেই ঘরের জন্য ১২ লক্ষ টাকা কাটমানি নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার এরকমই ১১ দফা অভিযোগ নিয়ে পুরসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বিজেপির জেলা সভাপতি মহাদেব সরকারের প্রশ্ন, এত দুর্নীতি যেখানে সেখানে সিবিআই তদন্ত হবে না কেন? আশ্চর্যজনকভাবে বিক্ষোভে কাটমানি প্রসঙ্গে নচিকেতার লেখা গানটি ব্যবহার করে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের বিক্ষোভে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত নচিকেতার গান কেন? তা নিয়ে প্রশ্ন জাগে অনেকের মনে। শুরু হয় জল্পনা। তবে এ বিষয়ে কথা বললে নচিকেতা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। কার্যত বিজেপির বিরোধিতা করে তিনি বলেন, “গানটা তো ওদের বিরুদ্ধেই, ওরা কাটমানি দাবি করে কী করে?” নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তেইশ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে নির্বাচনে। সেই টাকা কোথা থেকে এসেছে? ওটা কি কাটমানি নয়?”
প্রসঙ্গত, সোমবারই কাটমানি ফেরতের দাবি জানিয়ে রানাঘাটের সাংগঠনিক সভাপতি শংকর সিংয়ের ছবি দিয়ে পোস্টার পড়েছিল নদিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে। এ প্রসঙ্গে শংকর সিং বলেছিলেন, “আমার রাজনৈতিক জীবন পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। এই দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আমি কখনও কাটমানি দিয়ে বা নিয়ে রাজনীতি করেছি, এ কথা আমার নিন্দুকেরাও বিশ্বাস করবেন না। যারা এই পোস্টার দিয়েছে, তারা নিজেদের পরিচয় কেন গোপন রেখেছেন, আমি জানি না। কেউ যদি আত্মগোপন করে কারও নামে অভিযোগ আনেন, তাহলে তা নিয়ে কী বলব? আসলে এটা সম্পূর্ণ রুচিহীনতার পরিচয়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.