ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি, গরু পাচার মামলা নিয়ে তোলপাড় বাংলা। একের পর এক ঘটনায় তৃণমূলের যে মুখ পুড়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে কোন নেতা দলের জন্য কতটা অস্বস্তি বাড়িয়েছে? এনিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর দাবি, একমাত্র পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই (Partha Chatterjee) দলের জন্য বিড়ম্বনা। আর কেউ নন।
দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছিল। একের পর এক নাম জড়াচ্ছিল উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক আধিকারিকদের। পরবর্তীতে জল গড়ায় আদালতে। শিক্ষক নিয়োগ দু্র্নীতি মামলার তদন্তভার যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। এরপরই গ্রেপ্তার করা হয় প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। এরপর একে একে গ্রেপ্তার করা হয় শান্তিপ্রসাদ সিনহা (এসএসসি প্রাক্তন উপদেষ্টা), সুবীরেশ ভট্টাচার্য (এসএসসি প্রাক্তন চেয়ারম্যান), অশোক কুমার সাহা (এসএসসি প্রাক্তন সহকারী সচিব), কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় (এসএসসি অ্যাডহক কমিটির প্রাক্তন সভাপতি)-সহ বেশ কয়েকজনকে। এদিকে গরুপাচার মামলার তদন্তে নেমেও বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে সিবিআই। যার ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তৃণমূল অনুব্রত মণ্ডল-সহ বেশ কয়েকজন।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারির পরই তাঁর সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছে তৃণমূল। কিন্তু অনুব্রত বা মানিক ভট্টাচার্যের ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি। অনুব্রতর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন তো দূর অস্ত, উলটে তাঁর হয়ে গলা চড়িয়েছেন দলনেত্রী। কিন্তু কেন পার্থ-অনুব্রতর ক্ষেত্রে আলাদা পন্থা? তা খোলসা করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি এদিন বলেন, “পার্থ দলের জন্য বিড়ম্বনা, মানিক বা অনুব্রত নন। কারণ, পার্থর ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে নগদ প্রচুর টাকা দেখেছে মানুষ। যা মানিকদের ক্ষেত্রে হয়নি। তাঁদের বাড়ি থেকে নথি বাজেয়াপ্ত হয়েছে ঠিকই, কিন্তু টাকা মেলেনি।” তৃণমূলের অনেক নেতার গলাতেই একই সুর।
তৃণমূল সাংসদের এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করেছেন বিরোধিরা। বামনেতা সুজন চক্রবর্তীর কথায়, “টাকা দেখা যাক বা না যাক পুরোটাই দুর্নীতি।” একই কথা বলেছেন বিজেপি নেতারাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.