অরূপ বসাক, মালবাজার: দক্ষিণবঙ্গের জঙ্গলে বাঘের উপস্থিতিতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এদিকে উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে আবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে মালবাজারে বন দপ্তরের তারঘেরা ও কাদামবাড়ি চেকপোষ্টের মাঝের জঙ্গল। পুড়ে যাচ্ছে ছোট ছোট গাছ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দাবানল নয়, ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ বা কারা জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। কিন্তু, আগুন নেভানোর জন্য বন দপ্তরের কোনও তৎপরতা চোখে পড়ছে না। চোরাশিকারিরা কিংবা জঙ্গলে যাঁরা গরু চরাতে যায়, তারাই আগুন লাগিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
[জঙ্গলে কারা দিচ্ছে আগুন? হাতির চিৎকারে অস্থির এলাকাবাসী ]
পাহাড়-জঙ্গলে ঘেরা উত্তরবঙ্গে চোরাশিকারিদের দাপট কিছু কম নয়। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, জঙ্গলে যদি কোনওভাবে আগুন লাগিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে বন্যপশুরা উদভ্রান্তের মতো ছোটাছুটি করতে শুরু করে। শিকার করতে সুবিধা হয় চোরাশিকারিদের। আবার জঙ্গলে যাঁরা গরু চরাতে যান, আগুন লাগলে সুবিধা তাঁদেরও। আগুনে ঝরা পাতা পুড়ে গেলে, জঙ্গলের ভিতরে ফাঁকা জমিতে নতুন ঘাস জন্মায়। গবাদি পশুদের খাবারের কোনও অভাবে থাকে না। কিন্তু, মালবাজারে তারঘেরা ও কাদামবাড়ির রেঞ্জের মাঝের জঙ্গলে কারা আগুন লাগাল? তা এখনও স্পষ্ট নয়।
[স্কুলের গেট থেকে ৩ ছাত্রীকে অপহরণ, উঠছে পাচারের অভিযোগ]
ফ্রেরুয়ারিতেই মালবাজার মহকুমার গজলডোবায় তারঘেরার জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। হাতিদের আর্ত চিৎকারে অস্থির হয়ে উঠেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ফের আগুন উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে। মালবাজার মহকুমার তারঘেরা চেকপোষ্ট থেকে কাদামবাড়ি চেকপোস্টের দুরত্ব ৬ কিমি। পুরো এলাকাটি ঘন জঙ্গলে ঢাকা। এই জঙ্গলে হাতি, চিতা-সহ বিভিন্ন বন্যজন্তু রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ৬ কিমি বিস্তৃত এই জঙ্গলে কেউ বা কারা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। পুড়িয়ে যাচ্ছে জঙ্গলের ছোট ছোট গাছ। অভিযোগ, আগুনে পুড়তে থাকা জঙ্গলের দুদিকে দুটি চেকপোস্ট থাকা সত্ত্বেও, বন দপ্তরের কোনও হুঁশ নেই। ঘটনাস্থলে আসেননি বন দপ্তরের কোনও কর্মীও। এদিকে আগুনে তীব্রতা এতটা বেড়ে গিয়েছে, যে জঙ্গল লাগোয়া রাস্তা দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা যাতায়াত করতে পারছেন না। উদ্বিগ্ন পরিবেশপ্রেমীরা। তাঁদের অভিযোগ, বারবার বলা সত্ত্বেও জঙ্গলে নজরদারি বাড়ায়নি বন দপ্তর। তাই বারবারই কেউ বা কারা জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে। পরিবেশপ্রেমীরা বলছেন, এভাবে যদি জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে চোরাশিকারিদের সুবিধা হয়। সবচেয়ে বড় কথা, জঙ্গল ছেড়ে বন্যজন্তুদের লোকালয়ে ঢোকে পড়ার আশঙ্কাও বাড়ে।
[শুক্রবার ছেলেরা দাহ করলেন, শনিবার ‘মৃত’ ব্যক্তি ফিরলেন বাড়িতে!]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.