ধীমান রায়, কাটোয়া: ফের বেফাঁস অনুব্রত। ‘বহিরাগতদের’ পেটানোর নিদান দিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। তাঁর কথায়, “ওড়িশা থেকে আরএসএসের ২০ হাজার লোক পশ্চিমবঙ্গে আসছে। প্রত্যেকটা বিধানসভায় ১০০ জন করে ঢুকবে। তাকে সোঁটাবেন না ভালবাসবেন? যদি বাচ্চা-বাচ্চা ছেলেরা তাদের পায়ে লাঠিপেটা করেন তাহলে আপনাদের কী দোষ?”
শুক্রবার কেতুগ্রামের কাঁদরায় এনআরসি বিরোধী দলীয় জনসভায় এসে দলীর কর্মীদের সতর্ক করে দেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে সতর্কবাণী, “আরএসএসের লোকেরা আপনাদের ভুল বোঝাবে। যাকে সন্দেহ হবে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেবেন। বিডিওর হাতে তুলে দেবেন।” এদিন অনুব্রত ওয়েইসির দল মিমকেও একহাত নেন। তিনি বলেন, “মিম বিজেপির চামচা। দেশকে শেষ করতে চলেছে এই মিম সম্প্রদায়। ওদের বিশ্বাস করবেন না মুসলিম ভাইরা।”
বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল।পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম, আউশগ্রাম ও মঙ্গলকোট এই তিনটি বিধানসভা এলাকা পড়ছে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে। এই তিন বিধানসভা এলাকার প্রতিটি ব্লকেই পরপর দলীয় সভা করছেন অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রত এদিনও নিজস্ব ঢঙে হুমকি দিয়ে বলেন, “এনআরসি হবে না। কেউ কাগজ দেখাতে বললে দেখাবেন না। যদি কেউ জোর করে তার মাথা থেকে পা পর্যন্ত সোঁটাবেন। একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোক এলে তাদেরই কাগজ দেখাবেন।”
এদিন কাঁদরার সভায় অনুব্রত মণ্ডল অভিযোগ তোলেন, “আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আসার সময় গুজরাতের বস্তিগুলিকে আড়াল করতে দুধারে পাঁচিল তুলে দিয়ে ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। যাতে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের নজরে না পড়ে। তবুও আমেরিকার গোয়েন্দারা জেনে গিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শুধু মিথ্যাচারিতা করে চলেছেন।” কেতুগ্রামের সভায় অনুব্রত মণ্ডল কেতুগ্রামের দলীয় বিধায়ক শেখ সাহনাওয়াজের প্রশংসা করেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন ২০২১ সালের নির্বাচনে কেতুগ্রামের দলীয় প্রার্থী হবেন সাহনাওয়াজই।
ছবি: জয়ন্ত দাস
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.