অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: দার্জিলিং বেড়াতে গিয়ে ফের অঘটন। প্রাণ গেল এক বাঙালি পর্যটকের। জিটিএ-র তরফে ইতিমধ্যে পর্যটকদের জন্য স্বাস্থ্যবিধি জারি করা হয়েছে।
তা সত্ত্বেও এই নিয়ে গত ৩ মাসে পাহাড় বেড়াতে গিয়ে প্রাণ হারালেন মোট ৬ জন পর্যটক। একের পর এক ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে উদ্বেগ।
মৃত বছর পঞ্চান্নর রাজনারায়ণ দে। তিনি পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা। গত মঙ্গলবারই বর্ধমান থেকে ৮ জন কালিম্পংয়ে পৌঁছন। ওই দলেই ছিলেন রাজনারায়ণবাবু। কালিম্পং থেকে সিটংয়ে যান তাঁরা। ওঠেন একটি হোম স্টে-তে। ওই রাতেই আচমকা অস্বস্তি বোধ করেন তিনি। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে ঠিকও হয়ে যায়। সকলের সঙ্গে রাতের খাওয়াদাওয়া সারেন। এরপর ঘুমিয়ে পড়েন। বুধবার সকালে ঘুম থেকে ওঠেন। কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে গিয়ে ফের অসুস্থ বোধ করেন। কিছু বোঝার আগেই জ্ঞান হারান। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করেন পরিচিতরা। রম্ভি প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সব শেষ। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে জানান। নিহত পর্যটকের দেহ কালিম্পং জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার কথা। কালিম্পংয়ের জেলাশাসক বালাশুভ্রমণিয়ম টি বলেন, “হোম স্টেটি দার্জিলিংয়ে। তবে যেহেতু রম্ভি হাসপাতাল সামনে আর সেখানে মৃত্যু হয়েছিল। তাই ময়নাতদন্তের জন্য কালিম্পং জেলা হাসপাতালে দেহ পাঠানো হয়েছে। বাদ বাকি সব দার্জিলিং জেলা প্রশাসন দেখছে।”
এই নিয়ে গত ৩ মাসে পাহাড় বেড়াতে গিয়ে প্রাণ হারালেন মোট ৬ জন পর্যটক। গত বছরের নভেম্বর সান্দাকফুতে ঘুরতে গিয়ে প্রাণ হারান কলকাতার ভবানীপুরের বাসিন্দা। এরপর ৪ ডিসেম্বর সান্দাকফু বেড়াতে গিয়ে বছর আঠাশের এক তরুণী পর্যটকের মৃত্যু হয়। তিনি উত্তর ২৪ পরগনার দমদমের অশোকনগরের বাসিন্দা। ৬ জানুয়ারি মালবাজারের ওয়াসাবাড়িতে প্রাণ হারান মুর্শিদাবাদের হরিহর থানার রমনামাঝপাড়ার বাসিন্দা এক যুবক। ওইদিনই দার্জিলিংয়ে মৃত্যু হয় হুগলির ভদ্রেশ্বরের বাসিন্দা দীপাঞ্জন সাহার। বারবার পর্যটকের মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন প্রায় সকলেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.