Advertisement
Advertisement

Breaking News

চুঁচুড়া

হুঁশ ফিরল প্রশাসনের, নুন-ভাতের পরিবর্তে পড়ুয়াদের পাতে ডিম-ভাত

চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যানের উদ্যোগেই মঙ্গলবার বালিকা বানী মন্দির স্কুলে ডিম-ভাত রান্না করা হয়৷

After the chaos of Mid day meal CCTV will be installed in Hooghly's school
Published by: Sayani Sen
  • Posted:August 20, 2019 9:22 pm
  • Updated:August 20, 2019 9:48 pm  

দেবাদৃতা মণ্ডল:  সোমবার মিড ডে মিলে মিলেছিল নুন-ভাত৷  চুঁচুড়া বালিকা বানীমন্দির স্কুলের এই ঘটনায় তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্য৷ মঙ্গলবার নড়েচড়ে বসল প্রশাসন৷ নুন-ভাতের বদলে পড়ুয়াদের পাতে পড়ল ডিম৷ চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যানের উদ্যোগেই ভাল খাবারের বন্দোবস্ত করা হয়৷ যদিও ছাত্রীদের ভাল খাবার খাওয়াতে গিয়ে শিক্ষিকাদের রোষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে৷ এদিকে, প্রশাসনের নির্দেশে হুগলির বিভিন্ন স্কুলে বসছে সিসিটিভিও৷

[আরও পড়ুন: ভিডিও কল করে মহিলা কর্মচারীকে অশালীন প্রস্তাব, দোকান ভাঙচুর নিগৃহীতার পরিবারের]

মিড ডে মিলে নুন-ভাত দেওয়ার প্রতিবাদ করে স্কুলের গেটের সামনেই প্রতিবাদী বাউল গান করেন স্বপন দাস। বাউলের মুখে প্রতিবাদের গান শুনে দাঁড়িয়ে পড়েন অভিভাবক ও ছাত্রীরা। তাঁর গানে বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে এই দাবিতে বাউলকে গান বন্ধের অনুরোধ করেন৷ স্কুল শুরুর পর তিনি গান বন্ধ করে দেন। এদিন শিল্পী বলেন, ‘‘আমি বর্ধমানের বাসিন্দা। খবরের কাগজ, টিভিতে চুঁচুড়ার বালিকা বানী মন্দিরের মিড ডে মিলে নুন-ভাতের খবর দেখে কষ্ট হয়। রাতেই গান লিখে ফেলি। এরপর ট্রেন ধরে সকালে চুঁচুড়া আসি৷ গান শুরু করি৷ আমি একতারা হাতে আমার মতো করে প্রতিবাদ করেছি। যেখানে অন্যায় হয় আমি আমার মতো করে প্রতিবাদ করি।’’

Advertisement

মঙ্গলবার স্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান গৌরীকান্ত মুখ্যপাধ্যায় নিজের উদ্যোগেই ২৫০টা ডিম, তেল, মশলা নিয়ে স্কুলে হাজির হন। ওই সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারা তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। শিক্ষিকারা জানিয়ে দেন এদিন মিড ডে মিলের রান্নার সময় পার হয়ে গিয়েছে। একথা শুনেই মেজাজ হারান গৌরীকান্ত। তিনি শিক্ষিকাদের বলেন, ‘‘ডিম, তেল, নুন, মশলা কিছু যে নেই আপনারা মুদি দোকানে জানিয়েছিলেন? আমাকে কেউ ফোন করে বলেছিলেন যে চাল আর নুন ছাড়া মিড ডে মিলে কিছু মজুত নেই। কাউকে কিছু না জানিয়ে মিড ডে মিলে নুন-ভাত দিয়ে বোর্ডে লিখে নোংরা রাজনীতি করলেন। আপনাদের বাড়িতে ছোট ছেলেমেয়ে আছে নিশ্চয়ই। তাদের কথা ভেবে মানবিক হন। রাজনীতি স্কুলের বাইরে গিয়ে করুন।’’

[আরও পড়ুন: ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির প্রচারে বিক্ষোভের মুখে গৌতম দেব, মেজাজ হারালেন মন্ত্রী]

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা পর্ণা দাস বলেন, ‘‘মিড ডে মিলে চাল আর নুন ছাড়া আর কিছু নেই। সাইনিং অথরিটি না থাকায় হাতে কোন ফান্ড নেই তাতেই সমস্যা হয়েছে।’’ লাবণী মল্লিক নামে এক পার্শ্বশিক্ষিকা বলেন, ‘‘স্কুলের হিসাবরক্ষক শর্মিষ্ঠা ঘোষ মিডডে মিলের বিষয়টি দেখতেন। ৩০ জুন উনি কাউকে কিছু না জানিয়েই দায়িত্ব ছেড়ে দেন। ২৫ জুলাই শিক্ষিকারা সেটা জানতে পারেন। তারপর থেকেই মিডডে মিল নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে।’’

এদিন স্কুল পরিদর্শন করেন চুঁচুড়ার মহকুমাশাসক অরিন্দম বিশ্বাস। স্কুলের শিক্ষিকাদের সঙ্গে প্রায় ঘন্টাখানেক বৈঠক করেন। জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, ‘‘দুই শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আমরা শিক্ষাদপ্তরকে জানিয়েছি ওই বিদ্যালয়ে দ্রুত প্রধান শিক্ষিকা নিয়োগ করতে।’’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement