নিজস্ব সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: চায়ের পর এবার কফি। বিশ্ব মাতাতে শৈলশহর দার্জিলিংয়ে কফি চাষের উদ্যোগ নিল জিটিএ। পাহাড়ের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এই নয়া উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে জোর তৎপরতা। নোডাল এজেন্সি হিসাবে গুরুদায়িত্ব বর্তেছে সিঙ্কোনা ডিরেক্টরেটের উপর।
১০৫ দিনের আন্দোলনের পর পাহাড়ের অর্থনীতির ভিত দুর্বল হয়ে পড়েছিল। এর ফলে দার্জিলিং পাহাড়ের মূল অর্থনীতি চা থেকে পর্যটনে ব্যাপক ক্ষতি হয়। এখন পাহাড়ে শান্তি ফিরেছে। কিন্তু চা, পর্যটনের পর এবার পাহাড়ের অর্থনীতিকে চাঙা করতে অভিনব পরিকল্পনা নিল জিটিএ। চায়ের পর এবার কফিতেও বিশ্বে নজর কাড়তে তৈরি হচ্ছে দার্জিলিং। জোর প্রস্তুতি চলছে তারই। জিটিএ-সচিব সি মরুগণ ইতিমধ্যেই মংপুতে গিয়ে সিঙ্কোনা ডিরেক্টরেটের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসেছেন। তাঁর নির্দেশে তৈরি হচ্ছে বিস্তারিত রিপোর্ট। জিটিএ-র প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি সুব্রত বিশ্বাস বলেন, “চায়ের পর পাহাড়ে অনেক জায়গায় কৃষকরা কফি চাষের দিকে ঝুঁকেছেন। ভাল সাড়াও মিলছে। বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হচ্ছেন ওই সব কৃষকরা। তাঁদেরকে আরও উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত সহায়তা, প্রশিক্ষণ, বাণিজ্যিকিকরণের ব্যবস্থাও করতে হবে।”
ইতিমধ্যেই কালিম্পং জেলা-সহ সংলগ্ন এলাকায় অন্তত চারশো জন কৃষক কফি চাষে উদ্যোগী হয়েছেন। একই সঙ্গে আরও কৃষক যাতে এই চাষে উৎসাহ দেখান তারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সিঙ্কোনার ডিরেক্টরেটের পক্ষে ডঃ স্যামুয়েল রাই বলেন, “বিষয়টি সম্পূর্ণ জিটিএ-র। তাঁদের উপর শুধু বর্তেছে কীভাবে এই পরিকল্পনার বাস্তব রূপ দেওয়া যায়। তা নিয়ে চলছে প্রস্তুতি। শীঘ্রই জিটিএ-কে রিপোর্ট দেওয়া হবে।” জিটিএ-র সচিব সি মরুগণ বলেন, “দার্জিলিং চায়ের মতো দার্জিলিংয়ের কফি চাষও বিশ্বজুড়ে সুখ্যাতি পেতে পারে। তাই এই ভাবনা।” জিটিএ-র প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনয় তামাং বলেন, “পাহাড় জুড়ে এখন উন্নয়নের তৎপরতা চলছে। পর্যটন, চা, কমলালেবু এবং সিঙ্কোনাতেই সীমাবদ্ধ থাকতে চান না তাঁরা। নয়া নয়া ভাবনা এবং পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। কফি চাষে উৎসাহ বাড়ানো তারই ফল।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.