ফাইল ছবি
রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: এক্সিট পোল দেখে উচ্ছ্বসিত বঙ্গ বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনের বুথ ফেরত সমীক্ষায় স্পষ্ট পূর্বাভাস, কেন্দ্রে ফের মোদি সরকার আসছে। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে বাড়ছে বিজেপির আসন। তবে শুধু এক্সিট পোল দেখে উচ্ছ্বাস নয়, রবিবার শেষ দফার ভোটপর্ব মেটার পরই বুথভিত্তিক বিশ্লেষণ শুরু করে দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতৃত্বের অভ্যন্তরীণ হিসাব বলছে রাজ্যে তাদের আসন সংখ্যা ২০ ছুঁয়ে যাবে।
[ আরও পড়ুন: এক্সিট পোলকে গুরুত্ব নয় বিরোধীদের, রাজ্যে এসে মমতার সঙ্গে বৈঠক চন্দ্রবাবুর ]
রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য জানিয়েছেন, “এক্সিট পোল যা দেখাচ্ছে তার চেয়ে বেশি আসন আমরা পাব। ২৩ তো হবেই, তার বেশি হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।” একইসঙ্গে শাসকদলকে উদ্দেশ করে দিলীপের হুঁশিয়ারি, “এবার তৃণমূলের গুন্ডারা আমাদের ভয় পাচ্ছে। ওরা বুঝতে পেরেছে এরকম করলে ভয়ংকর পরিণামের জন্য তৈরি থাকতে হবে।” ২৩ মে ফলপ্রকাশের পর যদি দলীয় কর্মীদের উপর হামলার ঘটনা বা হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা হয়, তার পাল্টা প্রতিরোধ ও জবাব যে বিজেপি দেবে এমনটাই এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি। ভোটপর্ব মিটতেই রাজ্যের ৪২টি কেন্দ্রের বুথ ধরে ধরে সমীক্ষায় বসে গিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। একদিকে কমিটেড ভোটারদের হিসাব, অন্যদিকে দোদুল্যমান ভোটারদের কতটা এল বাক্সে সেই হিসাব চলছে। আবার বাম ভোটের একটা ভাল অংশই যে পদ্ম শিবিরে আসছে তা নিয়ে নিশ্চিত বিজেপি নেতৃত্ব। একইসঙ্গে শাসকদলের ভোটব্যাঙ্কেও তারা থাবা বসাতে পেরেছে বলেই দাবি রাজ্য নেতাদের। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, এবার সংখ্যালঘু ভোটও বিজেপির ঝুলিতে আসছে। রাজ্যে যে এবার অপ্রত্যাশিত ফল হতে চলেছে তার কারণ হিসাবে এই সংখ্যালঘু ভোটের একটা অংশ আসার পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহর বারবার রাজ্যে আসার সুফলও রয়েছে বলে দাবি দিলীপবাবুর।
[ আরও পড়ুন: দুর্নীতি রুখতে কড়া দাওয়াই, কলেজে অনলাইনে ভরতির নির্দেশ শিক্ষামন্ত্রীর ]
তাঁর কথায়, “প্রধানমন্ত্রী ও অমিত শাহ মিলে ৫০টির মতো সভা করেছেন রাজ্যে। ভোট বাক্সে তার প্রভাব পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতি বুঝেছিলেন এবার বাংলা থেকে ভাল আসন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ওঁরা যেভাবে বাংলার জন্য পরিশ্রম করেছেন, আমরা খুশি তার মূল্য দিতে পারছি।” রাজ্যে ভোট প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গে শাসকদলের ৪০ জন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে দিলীপ ঘোষের আবার দাবি, তৃণমূল ও অন্যদলের ১০০ জনের মতো বিধায়কই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। ২৩ মে ফল প্রকাশের পরই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। এক্সিট পোলের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, রাজ্যে গেরুয়া শিবির ভাল ফল করছে। এরপরই সোমবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, সকলের জন্য দলের দরজা খোলা আছে। যাঁরা আসতে চাইবেন তাঁরা আসবেন। তবে এক্সিট পোল দেখে এখনই উচ্ছ্বাসে মাততে কেউ রাজি নয়। ২৩ মে-র ফলপ্রকাশের পরই হবে উৎসব। এমনটাই বলছেন বিজেপি নেতারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.