সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন আলু প্রতি কেজি ৪০ টাকা। পিঁয়াজ ১৫০-২০০ টাকা। রসুন ১৫০ টাকা। শীতের সবজির গায়েও হাত দেওয়া যাচ্ছে না। গড়ে ৫০ টাকা প্রতি কেজি। গরিব মধ্যবিত্তের বেহাল দশা।
বৃহস্পতিবার সকালে ছাতুবাবুর বাজার, মানিকতলা, লেক মার্কেট বা টালিগঞ্জ কলকাতার সর্বত্র ত্রাহী ত্রাহী রব। সাধারণ জ্যোতি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা প্রতি কেজিতে। চন্দ্রমুখী ৩০ টাকা। আক্ষেপের সুর খুচরো দোকানদারদের গলায়। কারণ তাঁদের কিছু করার নেই। পাইকারে বাজারেই আগুন দাম। আর্থিক মন্দার বাজারে এমনিতেই পকেটে টান। তার উপর বাজারের অবস্থায় চোখ কপালে উঠেছে প্রত্যেকের। প্রশ্ন, গরীবরা খাবে কী!
উৎসবের মরসুমে সেই যে বেড়েছিল। এখনও তা বদলালো না। ছ্যাকা খাচ্ছে মধ্যবিত্ত গেরস্ত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় জোগান কম। তাই এই হাল। কিন্তু জোগান কেন কম? জানা গিয়েছে, হিমঘর থেকে যথেষ্ট পরিমাণ আলু বেরোচ্ছে না। ফলে চাহিদার তুলনায় জোগান কমা থাকায় দাম বাড়ছে। ফড়েদের ভূমিকা রয়েছে। তা ছাড়াও ভিন রাজ্য থেকে পিঁয়াজ প্রয়োজন মতো আসছে না। তার ফলেই দাম আকাশ ছুঁয়েছে। নাসিকে বৃষ্টির কারণে পিঁয়াজ আসছে না রাজ্যে। যেখানে ২০-২৫ গাড়ি পিঁয়াজ আসতো, সেখানে বৃষ্টির কারণে আসছে ৫ গাড়ি পিঁয়াজ। বৃষ্টি কমলে জোগান ঠিক হলেই দাম কমবে পিঁয়াজের। তেমনটাই মত অনেকের।
ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, পুজোর আগে টানা বৃষ্টির কারণে আলু চাষে দেরি হয়েছে। তাই পরিমাণ মত নতুন আলু উঠতে একটু দেরি হচ্ছে। জানুয়ারির মাঝামাঝি এই অবস্থা হয়ে যেতে পারে। শিয়ালদহ কোলে মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির বক্তব্য, শ্রমিক কম থাকার কারণে আলু হিমঘর থেকে বেরোচ্ছে কম। তাই জোগান কমে যাওয়াতেই দাম বেড়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.